এই দুজনকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার

Slider বাংলার মুখোমুখি


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ড. ইউনূস আছেন বলে আমাদের অর্থনীতির একটু গতি ফিরছে। আগের সরকারকে কেউ বিশ্বাস করত না। বিদেশ থেকে কেউ টাকা দিত না। দিলেও সেটা ব্যাংকে দিতো না। চুরি করে দিতো, ফলে রিজার্ভে প্রভাব পড়তো না। আমাদের ব্যাংক আগের চাইতে ভালো হচ্ছে। তবে জিনিসের দাম কমেনি, জনগণের কষ্ট কমেনি, মানুষের দুর্দশা কমেনি।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুর্নবাসনের অভিযোগ এনে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।’

তিনি বলেন, এই সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিতে পারবেন চেষ্টা করুন। সংস্কার বলেন, যাই বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার রাখে না। ধান্দাবাজ লোকদের আপনি উপদেষ্টা বানাবেন, ধান্দাবাজ লোকদের বড় বড় অফিসারের পদ দেবেন… সেটা করলে হবে না।

মান্না আরও বলেন, আমরা দিন দিন বেশ বড় রকম সংকটের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। কত রকম আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মানুষ ডক্টর ইউনূসের নাম প্রস্তাব করে, বিদেশ থেকে ডেকে এনে সংবর্ধনা দিয়ে দায়িত্ব দিল। উনি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলেন না। ক্ষমতা নেওয়ার পরে এই ১০০ দিনের মধ্যে আমাদের মধ্যে বা মানুষের মধ্যে তেমন আশা সঞ্চার করতে পারেননি তিনি।

গেল রোববার সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাহফুজ আলম, সেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এদের মধ্যে বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কী করে এই দুজন মানুষকে নিলেন? কার বুদ্ধিতে নিলেন? এই দুইজন মানুষ কী করে উপদেষ্টা পরিষদে এলো? তাদের নাম কে বলল? তাদের নাম কী করে এলো? একমাত্র প্রধান উপদেষ্টা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলতে পারেন। আমি জানতে চাই, কার পরামর্শে এই দুজনকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে? কী বিবেচনায়?

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচা আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, গণফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী। প্রতিবাদ সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *