সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এক নারীর ব্যাগ তল্লাশি করে জনরোষে পড়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ দুই শিক্ষার্থী। উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে আটক করে এবং পিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার সিনেমা প্যালেস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন- সাব্বির ও রায়হান। তাদের মধ্যে রায়হান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অপরজন কোথায় পড়েন তা জানা যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের বলেন, যৌনকর্মী সন্দেহে কিছু নারীকে তাড়া করে ওই দুই ছাত্র। এ সময় এক নারী একটি হোটেলে আশ্রয় নেন। তার পেছন পেছন দুই ছাত্র হোটেলে উঠলেও তাকে আর খুঁজে পায়নি। হোটেল থেকে নেমে একটি বাসের পেছনে বোরকা পরিহিত আরেক নারীকে দেখে তারা সন্দেহ করে। পরে তার ব্যাগে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী রয়েছে কি না তা তল্লাশি করে দেখে তারা।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে ওই নারীর স্বামী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ লোক জড়ো হয়ে যায়। জনতা ওই দুজনকে মারতে উদ্যত হলে খবর পেয়ে মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তারা দুজনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ওই নারী এবং তার স্বামীও থানায় এসেছিলেন। তাদের অভিযোগ না থাকায় দুই ছাত্রের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ছাত্রদের কাজ এখন পড়ার টেবিলে এবং পতিত শক্তির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। ছাত্রদের কাজ তো কারও ব্যাগ তল্লাশি করা নয়। যে দুজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে তারা সমন্বয়ক নন। আমি তাদেরকে সেভাবে চিনি না।