বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আবারও সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন হামলার ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে’ দাবি করে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে দেশটি। শনিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা বার্তায় এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বার্তাটি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত পশ্চিমা নাগরিকদের বড় ধরণের জমায়েতসহ অন্যান্য স্থানে তাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের কাছে আছে।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর ইতালির একজন এবং ৩রা অক্টোবর জাপানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসের হুমকি ‘বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য’ রয়েই গেছে। বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে ভ্রমণরত কিংবা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থলে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, সাইকেলে কিংবা কোন খোলামেলা বাহনে চলাফেরা করতেও মার্কিন নাগরিকদের নিষেধ করা হয়েছে বার্তায়।
ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যার পর বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ। এসব দেশের পক্ষ থেকে এখনও ওই এলার্ট প্রত্যাহার করা হয়নি। ভ্রমন সতর্কতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আসা কমে গেছে। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পের ক্রেতারাও আসতে স্বস্থিবোধ করছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে তাদের নাগরিকদের জন্য এই এলার্ট হালনাগাদ করলো।