মাসুদ রানা সরকার : যমুনা বিধৌত চরাঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার কৃষকেরা এবার মাষকলাই চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষি অফিসের প্রণোদনার মানসম্পন্ন বীজ ও সার এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তদারে সঠিক তদারকির কারণে কৃষকেরা এবার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে মাষকলাই চাষ করেছেন যা গতবারের চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি। এছাড়া গতবছর কৃষকেরা মাষকলাইয়ের ভালো দামও পেয়েছেন। তাই এবারও অধিক লাভের আশায় তারা ব্যাপকভাবে এই চাষ শুরু করেছেন।
কাজিপুরে যমুনার চর এবং বিড়ায় দিগন্ত জোড়া মাষকলাইয়ের ক্ষেতের সবুজ সবার নজর কেড়েছে।কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নে এ বছর মাষকলাই চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫০ হেক্টর । যা গতবারের চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি। তবে কৃষকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার বন্যার পানি নেমে যাবার সাথে সাথে জমি প্রস্তুত করে এর চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকেরা। আগষ্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে মাষকলাইয়ের বীজ বপণ করেছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ অক্টোবরের প্রথমেও বীজ বপণ করেছেন।মাইজবাড়ি চরের মাষকলাই চাষী সোরহাব আকন্দ জানান, এবছর দুই বিঘা জমিতে কালাই (মাষকলাই) লাগাইছি। এই চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ হয় বেশি। সার ও পানির খরচও কম। বিঘায় ৫-৭ মন করে মাষকলাই পাই।চর ডগলাসের চাষী টুকু মন্ডল বলেন, এবার কৃষি অফিস আমাগোরে বীজ ও সার দিছে। মাঝে মাঝে স্যারেরা (উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা) খোঁজ নেয়। সব মিলা ভালো আবাদ আশা করছি। নিজের তিন বিঘার পাশাপাশি আরও ১ বিঘা বর্গা নিয়ে মাষকলাই লাগিয়েছি।কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মাষকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ভালো ফলন পেতে আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।