ছবি( তাজ উদ্দিন)
গাজীপুর: তথ্য নিতে এসে গাজীপুর জেলা সমবায় অফিসে হত্যা চেষ্টার শিকার হয়েছেন এক সমবায় সমিতির সভাপতি। হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত এক কর্মকর্তা গাজীপুর জেলা অফিসে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) বেলা ২ টার পর গাজীপুর শহরে অবস্থিত জেলা সমবায় অফিসে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার কাওরাইদ ইউনিয়ন প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি মো: তাজউদ্দীন(৫৫) তার সমিতির কিছু তথ্য নিতে শ্রীপুর উপজেলা সমবায় অফিসে আসেন। সেখানে এসে শ্রীপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহিন সুলতানাকে না পেয়ে ফোন করেন। ফোনে এই কর্মকর্তা তাজউদ্দিন কে গাজীপুর অফিসে আসতে বলেন। গাজীপুর জেলা সমবায় অফিসে যাওয়ার পর জনৈক তোফায়েল আহমেদ হঠাৎ তেড়ে গিয়ে তাজউদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সামলে দিলে তাজউদ্দিন কৌশলে অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। ভেয় পাওয়া ও হত্যা চেষ্টার পর থেকে অসুস্থ তাজউদ্দিন মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি কিডনী ও হৃদযোগ সহ নানাবিধ জটিল রোগে ভুগছেন।
তাজউদ্দিন বলেন, হঠাৎ করেই তোফায়েল আহমেদ তথ্য দিয়ে কি করি বলে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনার পর আমি শারিরিক ও মানষিকভাবে অনেক অসুস্থ। এই বয়সে কেউ আমাকে এমনভাবে বিনা কারণে অপমান করতে পারেনি। আমি মর্মাহত, আমি বিচার চাই। গাজীপুর জেলা সমবায় অফিসে একাধিক কর্মকর্তাকে আমি চিনি। তাদের কয়েকজনের সম্পর্কেও আমি ভালো করে জানি। তবুও আমি কাউকে অপমান করতে চাই না। আমি আশা করি বিচার পাব।
অভিযুক্ত তোফায়েল আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গাজীপুর জেলা সমবায় অফিসে ঘটনার সময় উপস্থিত শ্রীপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহিন সুলতানা বলেন, দুই জন ঝগড়া করেছে। আমরা সামলে দিয়েছি।
গাজীপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: সাদ্দাম হোসাইন বলেন, আমি গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। অভিযুক্ত তোফায়েল আহমেদ হবিগঞ্জ জেলায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। গাজীপুর জেলা সমবায় অফিসে তার উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সে আমার স্টাফ না। সে এখানে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়টি অনাংখিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযুক্তের শাস্তির জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।