ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। এ ছাড়া দুই গ্রামের অন্তত ৮০ জন মানুষ আহত হয়েছেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িঢালা ও বগইর গ্রামবাসীর মধ্যে আগে থেকেই কিছু সমস্যা ছিল। সেই শত্রুতার জের ধরে আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামবাসী।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত বগইর গ্রামের নুরুল আমিনকে (২৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক মাস আগে বগইর বাসস্ট্যান্ডে এই গ্রামের মোশাররফ, মোজাহিদ, মন মিয়াসহ ১৪/১৫ জনের একটি দল কৌশলে খড়িঢালা গ্রামের আলমগীরকে আটক করে ব্যাপক মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর ও গ্রামের ভেতর দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই গ্রামের মানুষই দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। টানা দুই ঘণ্টা চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৭৫/৮০ জন মানুষ আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্তত ৩০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে গ্রাম দুটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান আশুগঞ্জ থানার ওসি।