বিভিন্ন খাতে সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরও চারটি সংস্কার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এগুলো হলো— স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক ও নারী অধিকার বিষয়ক কমিশন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য আরও চারটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, শ্রমিক অধিকার কমিশনের কাজ করবেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের সৈয়দ সুলতানউদ্দিন আহমেদ, গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশিষ্ট কলামিস্ট কামাল আহমেদ, নারী অধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন নারীপক্ষের শিরিন পারভীন হক।
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা জানিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।
সংস্কার কমিশনের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ করছে না সরকার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের জন্য এটাই হচ্ছে আমাদের শেষ সুযোগ। ফলে এখানে যতটা ওপেন থাকা যায়।
শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে ভবিষ্যতে কমিশন গঠনের সম্ভাবনার কথাও জানান উপদেষ্টা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, শিক্ষা সংস্কারটা কোন পথে গেলে আধুনিক-যুগোপযোগী চাহিদার প্রতিফলন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কী হয়, পরবর্তীতে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কমিশন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।