রমজান আলী রুবেল,শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,দখলদারিত্ব চাঁদাবাজী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকির প্রতিবাদে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
রবিবার(১৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বরমী বাজারে এ মানববন্ধন করা হয়।
বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শহীদদের হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শরিফ মৃর্ধার না না অপকর্মের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী,ব্যবসায়ীগণ ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সেলিম ফকির বলেন,শরিফ মৃর্ধা আওয়ামী লীগের আমলে আমার দোকানে হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর দোকান ঘরটি জোরপূর্বক ভেঙে নিয়ে যায়।
বরমী কায়েতপাড়া এলাকার মৃত হাসমত আলীর ছেলে ব্যবসায়ী এমদাদুল হক প্রধান বলেন, যুবলীগ নেতা শরিফ মৃর্ধা আমাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ২ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে যায়।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রাসেল আকেন্দ বলেন, জোরপূর্বক বালুর গতির জমি দখল করে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে,শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর জবরদখল করা জমির উপর গদি গড়ে তোলে সন্ত্রাসী শরিফ মৃর্ধা। এতে সরকার বিপুল সংখ্যক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সে বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের সময় যুবলীগের পদপদবী বহন করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বরমী বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্যাতন করে নিয়মিত চাঁদাবাজী করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে।
একাধারে উক্ত শরিফ মৃর্ধা বরমী বাজারের সরকারি পেরিফেরি ভুক্ত জমি দখলে নিয়ে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে নিজ দখলে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
রবমী বাজারে তার নিজ দখলীয় বালুর গদির পাশে গড়ে তুলে টর্চার সেল। তার কথামতো চাঁদা না দিলেই ওই টর্চার সেলে নিয়ে তার অনুসারীদের দিয়ে নির্যাতন চালাত।
শরীফ মৃর্ধার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায়,তার নিকটাত্মীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তাকে দিয়ে এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে যুবলীগ নেতা শরীফ মৃর্ধা।
তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজী মামলা। প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করছে না।
বক্তারা অবিলম্বে শরিফ মৃর্ধাকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।