রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য মন্দিরে মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
মঙ্গলবার উপজেলার কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের অর্ধশত মন্দিরে প্রতিমার সাজসজ্জার কাজ শেষ মুহূর্তে । চলছে মন্দির আলোক সজ্জার কাজ। মন্দিরে মন্দিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারীগররা। শেষ সময়ের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মন্ডপ পরিচালনাকারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার বরমী,কাওরাইদ,মাওনা,রাজাবাড়ি, শ্রীপুর পৌরসহ ৮ইউনিয়নের এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে দুর্গোৎসবকে ঘিড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রতিটি মন্দিরে মূর্তি তৈরিতে খরচ পড়ছে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বলেন, ৯ অক্টোবর দুর্গাদেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে ঢাক-ঢোল ও বাঁশি বাজবে প্রতিটি মন্ডপে।
উপজেলা সার্বজনীন পূজা মন্দির ও মন্ডপের নামের তালিকা অনুযায়ী এবার অর্ধ শতাধিক মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
ঘরে ঘরে চলছে পূজার প্রস্তুতি। হিন্দু বসতিতে চলছে ঘরদ্বোর পরিষ্কার সাজ সজ্জা। মন্দিরগুলোতে ক্রমেই জমে উঠছে পূজার আমেজ। মন্দিরে কারিগররা মূর্তির অঙ্গ সংযোজন করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন রং ও সাজ সজ্জার। বরমী বাজারে প্রতিটি মন্দিরের মূর্তি গড়তে খরচ পরছে ত্রিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ পশ্চিম পাড়া সেবা সংঘ দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, কাওরাইদ এলাকার প্রতিটি মন্ডপে পূজা পালনের প্রস্তুতি চলছে। শেষ মুহূর্তে চলছে মন্ডপের আলোক সজ্জার কাজ। সূত্র মতে, ৯ অক্টোবর বুধবার সায়াহ্নে দেবী বোধনের মধ্যদিয়ে পূজানুষ্ঠানের শুরুর পরদিন দেবীর সপ্তাদী কল্পারম্ভ।
বৃহস্পতিবার সপ্তমী, শুক্রবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা রাতে অনুষ্ঠিত হবে সন্ধিপূজা। সর্বশেষ রবিবার বিজয়া দশমী। রাতে অনুষ্ঠিত হবে পূজা সমাপন, দর্পণ ও বিসর্জন। পূজা উদযাপনে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরই মন্দিরগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয় সহায়তা। আইনশৃংখলা বাহীনির পক্ষ থেকে দেয়া হয় নিরাপত্তা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে যথাযথভাবে পূজা পালন করতে পারে সেজন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।