শ্রেয়া জানাচ্ছেন, মহিলাদের সব ক্ষেত্রে ব্রাত্য করে রাখা হত। যে মহিলারা একে অপরকে সাহায্য করতেন, তাঁদের সমকামী ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হত। এমনকী তাঁদের অনেককেই পুরুষ কর্মীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হত। তিনিও এমনই এক ঘটনার শিকার। শ্রেয়ার কথায়, ২০১৩-য় স্টকহোমে গিয়েছিলাম আমার প্রাক্তন বস মনোজ পুঞ্জা-র সঙ্গে। গোটা সফর চলাকালীন তিনি আমায় নানা ভাবে যৌনতাপূর্ণ ইঙ্গিত করেছেন। আমায় বাধ্য করেন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে। পরে এ নিয়ে মুখ খুলতেই তার শাস্তি হিসাবে আমার চাকরি চলে যায়।
এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইবুনালে শুনানির সময় শ্রেয়া আরও জানান, একই পদে এক জন পুরুষ কর্মী যা রোজগার করেন, মহিলারা পান তার অর্ধেক। অনেক মহিলা কর্মী এই অভিযোগেই এর আগেও সংস্থার চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সংস্থার সেল্স কনফারেন্সে পুরুষরা স্ট্রিপ ক্লাবে গিয়ে যৌনতা এবং হুল্লোড়ে মাতবেন বলে মহিলকর্মীরা সেখানে আমন্ত্রণ পান না। অথচ পদ মর্যাদায় আমার সেখানে থাকার কথা ছিল।