গাজীপুর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের গ্রহনযোগ্যতা কেন প্রশ্নের মুখে!—–১

Slider টপ নিউজ


গাজীপুর: ২০০৭ সাল থেকে ক্ষমতায় নেই বিএনপি। সারাদেশের মত গাজীপুর জেলা ও মহানগর এবং সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্ধ সহ সাধারণ কর্মী ও সমর্থকেরাও নির্যাতন ও নীপিড়নের শিকার হয়েছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় নির্যাতিত হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মী সহ জামায়াতের হাজার হাজার নেতা-কর্মী। আওয়ামীলীগের শাসনামলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক ভূমিকা ও কোথাও কোথাও সাংগঠনিক নিস্ক্রিয়তা আবার কোথাও কোথাও আওয়ামীলীগের সুবিধা ভোগের ইতিহাস রয়েছে। অতীতের সরকারের আমলে সুবিধাভোগী বিএনপির নেতা-কর্মীরা এবং ওই সময়ে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে বর্তমানে কে কে কোন কোন কোন ভূমিকায় রয়েছে তার বিশ্লেষন নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে থাকছে বর্তমান অনুকূল সময়ে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কি ভাবছেন ও তারা কি চাচ্ছেন তার প্রতিফলন তো থাকছেই। পুরো জেলা ও মহানগর এবং উপজেলার তৃনমূলের খবর শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে প্রতি ২৪ ঘন্টা পর পর।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামীলীগের শাসনামলে গাজীপুর জেলা, মহানগর, সকল উপজেলা, পৌরএলাকা এমনকি ইউনিয়ন ও ওযার্ড পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি অংশ ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য করেছেন। তারা আওয়ামীলীগের সুবিধা ভোগী হয়ে নিজেদের নিরাপদ রেখেছেন। আওয়ামীলীগের আমলে বিএনপি যে সকল নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি, সেসকল নির্বাচনে বিএনপির অনেক নেতাই অংশ নিয়েছেন। অনেকে নির্বাচন না করলেও কোন না কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন। আবার অনেক বিএনপির নেতা-কর্মী দলীয় সিদ্ধান্তে অটল থেকে আওয়ামীলীগের কোন ধরণের সুবিধাও নেননি। আওয়ামীলীগের আমলে সুবিধাভোগী বিএনপি ও ত্যাগী বিএনপি বলে দুটি গ্রুপ অনেকটাই প্রকাশ্যে দৃশ্যমান ছিল। এই সময়ে যে সকল নেতা-কর্মী বিএনপির ক্ষতি করতে দখলবাজী চাাঁদাবাজী সহ নানা অপকর্মে যুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগের সময় ত্যাগী বিএনপির নেতা-কর্মীদের তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না। যারা বর্তামানে বেপরোয়াভাবে বিএনপির ক্ষতি করছেন তাদের প্রায় সকলেই ছিলেন আওয়ামীলীগের সময় সুবিধাভোগী। সময়ের পরিবর্তনে ৫আগস্টের পর আওয়ামীলীগের সময় সুবিধাভোগী বিএনপির নেতা-কর্মীরা সামনের কাতারে চলে আসেন। তারা পুরো জেলা ও মহানগর সহ সকল উপজেলা, পৌরএলাকা এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির ক্ষতি হয় এমন কর্মকান্ডে তারা ব্যস্ত। দখলবাজী, চাঁদাবাজী, সরকারী ও বনের জমি দখল, সাধারণ মানুষের জমি দখল এবং ঝুট ব্যবসার জন্য তারা মরিয়া হয়ে গেছেন। প্রতিনিয়ত গাজীপুর বিএনপির কোন না কোন ইউনিটের কারো না কারো বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আসছে। বিএনপিও সাধ্যমত দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে। এই অবস্থায় গাজীপুর বিএনপির সকল সাংগঠনিক ইউনিটে কাদের কর্তৃত্ব বেশী, ত্যাগী না সুবিধাভোগীদের, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। বর্তমানে গোপনে আওয়ামীলীগের সাথে ঝুট ব্যবসার ভাগাভাগি করে অতীতের প্রতিদান দেয়ার চেষ্টাও সফল হচ্ছে কোন না কোন জায়গায়। আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জনপ্রতিনিধিদের সরাতে সরকারী আয়োজন কোথাও সার্থক আবার কোথাও ব্যর্থ হওয়ার নজীরও আছে। নিরীহ মানুষকে মামলায় ফাঁসানো ও ফাঁসানোর কথা বলে গোপন বানিজ্য এখন রমরমা। ৫ আগস্টের পর জায়গা জমি দখল বেদখল যেন এক ধরণের আনন্দের বাঁধ তৈরী করেছে। অথচ বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম থেকে অন্যায় করা থেকে বিরত থাকার নির্দশ দেয়া হচ্ছে। সুবিধাভোগী বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় নির্দেশ এক কানে শুনছেন আরেক কানে বের করে দিচ্ছেন। মুখে মুখে সাধু সেজে ভেতরে ভেতরে দলীয় নির্দশ অমান্যও করছেন। গাজীপুর বিএনপির সকল ইউনিটের মধ্যে দলীয় নির্দেশ অমান্য করার ভুরি ভুরি অভিযোগ বিএনপির কেন্দ্রিয় অফিসে প্রতিদিন জমা হচ্ছে। এসব বিষয়ে তৃনমূল বিএনপি ও বিএনপির উচ্চ ফেরাম কি বলছেন, তাও প্রকাশ হবে ক্রমশ। ঝুট ব্যবসার জন্য মারামারি, সংঘর্ষ এমনি মহাসড়ক অবরোধের মত ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হেনস্তা করে জাতিকে তারা কি ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছেন, তাও আসবে প্রতিবেদনে। বিএনপির কোন কোন নেতা কোন কোন এলাকা নিয়ন্ত্রন করছেন তারও ধারণা দেয়া হবে ক্রমান্বয়ে। চলবে—

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *