রমজান আলী রুবেল,শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির নেতা কর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। পরে হামলা কারীরা ওই ইউপির চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনের বাড়িতে হামলা করতে যায়। গ্রাম বাসীরা হামলাকারীদের প্রতিহত করে। এসময় চারটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। হামলায় চেয়ারম্যান সহ দুপক্ষে অন্তত্য বিশ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহীনি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে।
আহতরা হলেন মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম খোনকন(৫০),৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. সাদির(৪০),দফেদার রাসেল মিয়া (২৮)গাড়ির চালক মো. আ.গফুর(৩৫), সজিব (২৫) মেহেদি হাসান(২২),আল অমীন(২০),কাওছার(২১),জিন্নাত আলী(২৫)। এছাড়া মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোক্তারুল করিম শামীম মোড়ল(৫৫),মাওনা ইউনিয়ন ওলামা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জেমি(৩৫),নাহিদ(২৬) ,ইমরান(৩০),সাদ্দাম(২২),মোশারফ(২৪), আনোয়ার হোসেন(২৩)।
জানাযায়, মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন রবিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পরিষদে যান। সেখানে তিনি নিজ কার্যালিয়ে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোক্তারুল করিম শামীমের নেতৃত্বে অন্তত্য ২০-২৫জন ব্যক্তি ওই ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়।
হামলা কারীরা পরিষদের চত্তরে রাখ চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ভাংচুর চালায়। এসময় পরিষদের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান সহ অন্যরা বেরিয়ে এলে হামলাকারীরা এলোপাথারী হামলা চালায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত্য বিশজন আহত হয়। একই সময়ে হামলাকারীরা পরিষদের ভেতরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে। স্থানীয়রা চেয়াম্যান সহ আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আশপাশে খবর ছড়িয়ে পরলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা জড়ো হয়ে চেয়ারম্যানের সিংগারদিঘী গ্রামের বাড়িতে হামলাকরতে যায়। গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলা কারীদের প্রতি হত করে। এসময় চারটি মোটরসাইকেল অগ্নি সংযোগ করা হয়।
আহত বিএনপি নেতা মোক্তারুল করিম শামীমের ছেলে উপজেলা ছাত্র দলের আহŸায়ক জিয়াউল করিম রিফাত মোড়ল জানান, জরুরী কাজে আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছিলেন। পরিষদ চত্বরে প্রবেশের মহুর্তে অতুর্কিত ভাবে চেয়ারম্যানের লোকজন বাবার সহ তার সাথে থাকা লোকদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করে। এসময় আশ পাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধারকরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের লোকদের মারপিট করে অন্তত্য দশ জনকে আহত করে।
মাওনা ইউনিয়ন পরিষরেদর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন জানান, কয়েক দিন যাবৎ বিএনপি নেতা মোক্তারুল করিম শামীমের নেতৃত্বে বিএনপির লোকজন প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়। আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় পরিষদে না যাইতে। তাদের হুমকির কারণে আমি নিয়মিত পরিষদে যাইতে পারিনা। জন ভোগান্তি লাঘভ করতে রবিবার সকালে পরিষদে যাই। এসময় বিএনপির নেতার নেতৃত্বে হামলাকারী পরিষদে হামলা চালায়।
হামলায় আমি, গ্রাম পুলিশ,ড্রাইভার,দফেদার সহ অত্যন্ত দশ জন আহত হই। হামলা কারীরা আমার প্রাইভেট কার সহ পরিষদের আসবাপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করতে যায়। গ্রামবাসীদের ঐক্যবদ্ধ বাধার মুখে হামলাকারীরা ফিরে আসে। তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে সেনাবাহীনির টহল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার(ভূমি)আতাহার শাকিল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেনাবাহীনি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।