ছবি(মানববন্ধনের ফাইল ছবি )
গাজীপুর অফিস: মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ভাওয়াল গড়ের জবরদখল হওয়া সকল বনভূমি উদ্ধারে টাস্কফোর্স গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নিকট আবেদন করেছে ভাওয়ালগড় বাঁচাও আন্দোলন। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি বেনজীর সহ সকল ভূমি দস্যুদের কবল থেকে বনভূমি উদ্ধারের দাবী জানানো হয়।
মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত আবেদন করে ভাওয়ালগড় বাঁচাও আন্দোলন নামে এই সামাজিক সংগঠন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান ও মহাসচিব রিপন আনসারী স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রটি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান বলেন, ভাওয়ালগড় রক্ষা ও জবরদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে বিগত ২০ বছর যাবৎ আন্দোলন করছে ভাওয়ালগড় বাঁচাও আন্দোলন। তিনি অনতি বিলম্বে ভাওয়াল গড়ের জবরদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান।
ভাওয়ালগড় বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এ কে এম রিপন আনসারী বলেন, মহান স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৩ বছরে প্রতিটি সরকারের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় শাল-গজারীর ভাওয়ালের গড় জবর দখল হয়েছে। সাবেক আইজিপি বেনজীর সহ অনেকেই ভাওয়াল গড়ের জমি জবরদখল করেছেন। এখন দেশে সংস্কার চললেও ভূমি দস্যুদের কবল থেকে বনভূমি উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেই। বরং ইতোমধ্যে ভাওয়ালগড়ে অসংখ্য বসতবাড়ি, করাতকল ও কলকারখানা গড়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকার পতনের পর ভাওয়ালগড়ে জবরদখলের মহাউৎসব চলছে। জবরদখলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অচিরেই ভাওয়াল বনভূমির অস্তিত্ব হারাবে। জবরদখল দমনে বন বিভাগের লোকজনকে একাধিকস্থানে মারধর করার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আওয়ামীলীগ আমলে জবরদখল হওয়া বনভূমি বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দল মিলে উদ্ধার করবে। কিন্তু তা না করে তারা নতুন করে দখলের কাজে সহযোগিতা করায় জাতি হতভাগ হয়েছে। অবিলম্বে প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান তিনি।