শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রোকেয়া বেগম নামের এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষে কমপক্ষে আরো ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সকাল ঌটার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো-বিশমাইল আঞ্চলিক সড়কের পাশে জিরাবো পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোকেয়া বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাঘবাড়িয়া সরদারপাড়া গ্রামের খোকা মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় ম্যাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর।
জানা গেছে, ম্যাসকট কারখানাটি আজ খুলে দেয়ার কথা ছিল। সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে জানতে পারেন ম্যাসকট গার্মেন্টসটি শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ দেখতে পায়। পরে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং পাশের রেডিয়ান্ট ও সাউদার্ন কারখানা দু‘টি থেকে তাদের উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ইট পাটকেলের আঘাতে ম্যাসকট কারখানার নারী শ্রমিক রোকেয়া গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় পিএমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সংঘর্ষে বাকি আহত শ্রমিকরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শ্রমিকরা জানান, আজকে কারখানা খোলা রাখার কথা ছিল। কিন্তু সকালে ম্যাসকট গার্মেন্টসের সামনে শ্রমিকরা কারখানা গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার সামনের (জিরাবো-বিশমাইল) সড়কে বসে পড়ে এবং কিছু শ্রমিক পাশের কারখানা রেডিয়্যান্ট ও সাউদার্ন থেকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে তিন কারখানার শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, আজ ম্যাসকট গার্মেন্টস খুলে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানা না খুলে বন্ধই রাখে। সকালে ম্যাসকট গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সাথে অন্য আরো দুটি কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নারী শ্রমিক নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি, বিজিবি, র্যাব, শিল্প পুলিশ ও জেলা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।