সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আইনানুযায়ী তার রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
জানা যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৫ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এ সংসদ সদস্য তার আত্মীয়-স্বজনের নামে সিন্ডিকেট তৈরিপূর্বক এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে ঢাকায় সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে মো. মাহবুব আলী পরাজিত হন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে। এর আগে ২০১৪ সালে অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ২৬ জন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী রয়েছেন।