গাজীপুর: সকল প্রার্থীর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর ভোটের আমেজ হারিয়ে গেছে অনেক দিন হলো। অতীতে আনন্দঘন পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার সংস্কৃতি ফিরে আসতে উঁকি দিচ্ছে গাজীপুরের কালিগঞ্জে সাড়ে ছয় হাজার খ্রিস্টান ভেটারের অংশগ্রহণে একটি সমবায় সমিতির ভোট উৎসবের মাধ্যমে।
গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের তুমুলিয়া বালক উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এই অবস্থা দেখা যায়।
সরেজমিন জানা যায়, তুমুলিয়া খ্রিস্টান কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের (রেজি নং ২৬/৮৪) তিন বছর মেয়াদান্তে আজ নির্বাচন হচ্ছে। এই সংগঠনের ৬৪৩১ জন ভেটারের মধ্যে সবাই খ্রিস্টান ধর্মের লোক। তুমুলিয়া ইউনিয়নের ১৩ টি গ্রামের এই সমিতির ২২ টি পদে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২২ টি পদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির ১২জন, ঋণদান পরিষদের ৫ জন ও পর্যবেক্ষণ পরিষদের ৫ জন সহ মোট ২২ টি পদ রয়েছে।
কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রতীকে আঁকা পোশাক পড়ে ভোটার ও সমর্থকেরা ভোট উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন। ভোটারদের যাতায়াতের জন্য প্রার্থীর পোস্টার মোড়ানো অটোরিকশাও ব্যবহৃত হচ্ছে। শিশু কিশোর থেকে বয়স্ক মানুষও ভোট কেন্দ্রে আনন্দ উল্লাস করছেন। ভোটের উৎসব বলে দেয় অনেক দিন পর হলেও মানুষ ভোটের আনন্দ উপভোগ করছেন।
পুরুষ ভোটার বাদল ফ্রান্সি কস্তা(৫৫)বলেন, বড় ভোটে আনন্দ কবে ছিল মনে নেই। তবে আমাদের সমিতির ভোটে হারানো আনন্দ ফিরে পাই।
নারী ভোটার করুনা কস্তা(৪৫) বলেন, আমরা সব সরকারি ভোট এমনভাবে দিতে চাই। ভোট যেন আনন্দের হয় সেটাই চাই।
এই নির্বাচনে নির্বাচন পরিচলনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গাজীপুর জেলা সমবায় কার্যালয়ের উপ সহকারী নিবন্ধক মো: দেলোয়ার হোসেন, সদস্য হিসেবে কালিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আতাউর রহমান ও সমবায় পরিদর্শক আব্দুস শুকুর সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম সহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা সহ ভোটের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত হয়েছে অসংখ্য পুলিশ সদস্য।
কালিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন,২২ টি বুথে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করা হয়। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন বছর পর পর এই সমিতিতে আনুষ্ঠানিক ভোট হয়।