সোমবার সকালে কাহালু থানা পুলিশ উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের বড় পুকুরিয়া গ্রাম থেকে সাহেব আলী (৩৫) নামে এক ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তার স্ত্রী ফাইমা খাতুন (২৭) কে আটক করেছেন। সাহেব আলী উল্লেখিত গ্রামের মৃতঃ তোতা মিয়ার পুত্র। গ্রামবাসী ও সাহেব আলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার স্ত্রীর পরকিয়ার কারনে এ হত্যাকান্ড হতে পারে। নিহত সাহেব আলীর ছোট্র ভাই আবু সাঈদ জানান, তার ভাবী ফাইমা খাতুন একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র ও মালঞ্চা আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের দপ্তরী আফজাল হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে তোলে। এ ঘটনায় গ্রামের একাধিক বার শালিশ করা হয়েছে। তারপরও তারা পরকিয়া সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল। তিনি আরও জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাহেব আলী ও ফাইমার দাম্পত্য জীবনে মিজানুর রহমান (১২) নামে এক প্রতিবন্ধী পুত্র সন্তান রয়েছে। সাহেব আলীর ভাই বউ আলেয়া জানান, রোববার রাতে তারা স্বামী /স্ত্রী একই ঘরে ছিল রাত ৩ টার দিকে তাদের প্রতিবন্ধী ছেলে মিজানুরের কান্না শুনে আমরা তাদের ঘরে যায়। ঘরে গিয়ে দেখি সে মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখমের দাগ রয়েছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এ ব্যাপারে কাহালু থানা (ওসি) তদন্ত আনিছুর রহমান আনিছ, সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফাইমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।