গাজীপুর: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতাল থেকে জোরকরে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে টঙ্গীতে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি মরহুম ডাঃ জাফর উল্লাহর স্ত্রীসহ কয়েকজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন। এই পরিস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সম্মেলনকারী ট্রাস্টি।
সোমবার (২৬ আগষ্ট) বিকেলে টঙ্গীর আনারকলি রোডে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
সম্মেলনে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাঃ জাফর উল্লাহর মৃত্যুর পর ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২৪ আগষ্ট একদল লোক এসে জোর করে তার নিকট থেকে কাজ না করার কথা লিখে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি জিডিও করেন ডাঃ নাজিম। জিডিতে মরহুম ডাঃ জাফর উল্লাহর স্ত্রী ডাঃ শিরিন হক, ডাঃ কনা চৌধুরী, ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন ও ডাঃ আবুল বাসারের নির্দেশে একদল বহিরাগত লোক জোরপূর্বক অফিসে প্রবেশ করে পদত্যাগের কাগজে স্বাক্ষর নেয়। কাগজে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল কাজ থেকে অব্যাহতি নেয়ার কথাও লিখানো হয়েছে।
সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আমিই একমাত্র বৈধ ট্রাস্টি। আমার কাছ থেকে জোরকরে কাজ না করার কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। আমাকে হেনস্তাও করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বর্তমান সরকারের নিকট ন্যায় বিচার দাবী করছি। একই সাথে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম মোশতাক, আমজাদ আলী সরকার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো: আঃ রাজ্জাক মিয়া সহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।