গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসসের সাংবাদিক জীবনের বোনের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিকদের চার ভাগিনাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ।
শনিবার(২৪ আগষ্ট) রাত নয়টার পর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আরিচপুর সরকার বাড়ি রোড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, টঙ্গি প্রেস ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্হা (বাসস) এর ঢাকা উত্তর নিজস্ব সংবাদদাতা এস, এম, মনির হোসেন জীবনের বড় বোন আমেলা খাতুনের টঙ্গী পূর্ব আরিচপুরের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা হয়।
এঘটনায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আতাউরের ছোট ভাই মিজান আহমেদ।
হামলায় গুরুতর আহত ৪ ভাই হলো পোশাক শ্রমিক আতাউর রহমান (৪২), চাকুরীজীবী মিজান আহমেদ (২৯), ব্যবসায়ী আপন (২৫) ও সাগর ( ২২) পূর্ব আরিচপুর এলাকার স্হায়ী বাসিন্দা। তাদের পিতার নাম মৃত এন্তাজ মিয়া।
মামলার অভিযোগ ও ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর গ্রামে বাড়ির পানির লাইনের মোটর স্থাপনকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সাথে কিছু দিন যাবৎ মনমালিন্য চলে আসছিল ভুক্তভোগী আতাউরের। সম্প্রতি পানির লাইন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করার চেষ্টা করলে বিনা কারনে বাঁধা দেয় আসামীরা। এ নিয়ে ঝগড়া বাঁধলে
অভিযুক্তরা আতাউরের উপরে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, ছোরা ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। আতাউরকে উদ্ধার করতে তার ছোট ভাই মিজান এগিয়ে গেলে তাকেও বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানকে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য আতাউরকে ঢাকার আগারগাঁরস্হ পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মিজানের মাথায় ২০ এর অধিক সেলাই লেগেছে। আতাউরের এক হাতও আপনের পা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া সাগরের পিঠে আঘাতের দাগ রযেছে।
স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারিরা সাংবাদিকের বোনের বসত বাড়িতে অনাধিকারের সংবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে। এরপর প্রথমে তারা গমর পানি ছুড়ে মারলে এতে কয়েকজনের শরীর সামান্য ঝলসে যায়। মারামারি ও ঝগড়া থামাতে গিয়ে কয়েকজন রক্তাক্ত হয়।
টঙ্গি পূর্ব থানা পুলিশের উপ- পরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী জানান, দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।