বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের সংগঠিত হওয়ার কোনো অধিকার নেই। শাপলা চত্বরের বিভীষিকাময় গণহত্যা হেফাজত ভুলেনি। চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও আওয়ামী লীগ নজিরবিহীন গণহত্যা চালিয়েছে। সীমাহীন অর্থপাচার ও লুটপাটের কবলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাদেরকে রুখে দিতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) হেফাজতে ইসলামের আমির ও মহাসচিবের পক্ষ থেকে যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আলস্নামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান। তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, শেখ মুজিব এবং হাসিনা তাদের শাসনামলে দুঃশাসন ছাড়া দেশকে আর কিছুই দেয়নি। বিশেষত হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের বিভীষিকাময় গণহত্যা আমরা আজও ভুলিনি। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও তারা নজিরবিহীন গণহত্যা চালিয়েছে।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরাল আহ্বান, অবিলম্বে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করুন। কোনো ফ্যাসিস্ট আইকনকে আমরা আর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে দেব না। রাষ্ট্রীয় অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের যতগুলো মূর্তি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো ১৫ আগস্টের আগেই সরিয়ে ফেলে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ঈমানি দায়িত্ব পালন করুন।
তারা আরও বলেন, দেশবাসীকে নির্মোহভাবে ফ্যাসিবাদের সব শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অস্তিত্ব এবং এর পুনরুত্থানের সমস্ত শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনঃসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অগণিত শহীদ ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। এখনো রাস্তায় শহীদদের রক্তের দাগ শুকায়নি। অথচ তিনি ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের ভারতীয় এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলে মনে হচ্ছে। তার বক্তব্যে আমরা হতবাক। তিনি অবিশ্বস্ততার পরিচয় দিচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। তার এখানেই থামা উচিত।