আজ থেকে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি, বন্ধ ব্যাংক-পুঁজিবাজার

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

দেশে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নির্বাহী আদেশে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে দেশের সব ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার এবং ব্যাংকবর্হিভূত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।

তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকার ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট (সোম, মঙ্গল ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সাধারণ ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

এতে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

এছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিস এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, তিন দিন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে ব্যাংকের এটিএম বুথ। ফলে গ্রাহকেরা প্রয়োজনে টাকা তুলতে পারবেন। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) চালু থাকবে।

গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা

দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক কর্মচারী ভাইবোনদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৪ ও ২৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিতভাবে চলে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার (২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই) অফিস চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে স্বাভাবিক সময় ধরে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

তবে, শনিবার (৩ আগস্ট) থেকে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। জনসমুদ্রে পরিণত হয় এ বিক্ষোভ সমাবেশ।

এদিকে, আন্দোলনকারীদের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচিকে ঘিরে আজ রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

আর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি রয়েছে আজ সোমবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *