মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Slider সারাবিশ্ব


মধ্যপ্রাচ্যে একটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ, একটি যুদ্ধবিমান স্কয়াড্রোন এবং অতিরিক্ত রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অতি সম্প্রতি তেহরানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা নিহত হওয়ার পর ইরান প্রতিশোধ গ্রহণের হুমকি দেয়ার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগ নিয়েছে।

গাজা যুদ্ধের প্রথম দিকের পর এটিই মার্কিন বাহিনীর বৃহত্তম মুভমেন্ট। ওই সময় পেন্টাগন দুটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে যুদ্ধ সম্প্রসারণ না করার জন্য আঞ্চলিক উগ্রবাদী গ্রুপগুলোর প্রতি প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্স কোঅর্ডিনেটর জন কিরবি সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম লিডারের উচ্চকণ্ঠের ও পরিষ্কার বক্তব্য শুনেছি যে তিনি তেহরানে হামাস নেতার এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে চান এবং তারা ইসরাইলের ওপর আরেকটি হামলা করতে চান।’

তিনি বলেন, আমরা কেবল এটুকু অনুমান করতে পারি না যে আমরাও এ ধরনের হামলার শিকার হতে পারি। ফলে আমরা যথাযথ সম্পদ ও সক্ষমতা এই অঞ্চলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাই।

শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট স্ট্রাইক গ্রুপের বদলে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন স্ট্রাইক গ্রুপকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইউএসএস রুজভেল্ট বর্তমানে ওমান উপসাগরে কাজ করছে বলে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং জানান।

এছাড়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ডেস্ট্রোয়ার ও ক্রুইজারও পাঠানো হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরে। কোন কোন রণতরী পাঠানো হচ্ছে, তা বলা হয়নি। তবে গত এপ্রিলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বাধা দিয়েছিল ভূমধ্যসাগরে নিয়োজিত দুটি মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার।

অস্টিন ওই অঞ্চলে এক স্কয়াড্রোন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করার নির্দেশও দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র আরো আগেই ইউএসসে ওয়াসপ উভচর অ্যাসাল্ট জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে।

তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বদলা নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইরান। ইসরাইল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানি প্রতিশোধ আসতে পারে।

সূত্র : সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *