কাতার বিশ্বকাপে চমকে দেয়া মরক্কো চমক দেখাচ্ছে অলিম্পিকেও। পৌঁছে গেছে নতুন আরেক উচ্চতায়। অলিম্পিকের নক আউটে প্রথমবার পা রেখেই নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল। যুক্তরাষ্ট্রকে শেষ আটে আটকে দিয়ে এই মাইলফলকে পৌঁছেছে তারা।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোদস্তুর উড়িয়ে দিয়েছে মরক্কো। ক্লাব পিএসজির স্টেডিয়াম পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শেষ আটের ম্যাচে একক আধিপত্য ধরে রাখা মরক্কো জিতেছে ৪-০ গোলে। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন।
প্যারিসে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলে মরক্কো। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের খেলা ছিল ছন্নছাড়া। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি তারা। উল্টো সময়ের সাথে সাথে চাপ বাড়তে থাকে তাদের রক্ষণে।
সেই চাপ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের ২৮ মিনিটেই খেয়ে বসে প্রথম গোল। বক্সের ভেতর ফাউল করে মরক্কোকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসেন নাথান হারিয়েল। সফল স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন রাহিমি। ১-০-এ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে আরো কোণঠাসা করে দিয়ে আক্রমণে যায় মরক্কো। ম্যাচের ৫১ মিনিটে তারা আদায় করে নেয় নিজেদের দ্বিতীয় গোলটি। আবদে ইজাল যুলির পাস থেকে গোল মরক্কোকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন আমোমাখ।
৭০ মিনিটে গোলের দেখা পান দলের সবচেয়ে বড় তারকা আশরাদ হাকিমি। মাঝমাঠে বল পেয়ে আমেরিকান ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান তিনি। তার গোলের মধ্য দিয়ে ম্যাচটাকে নিজেদের করে ফেলে মরক্কো।
এরপর ৯০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মাওহোব।।পেনাল্টি থেকে করেন মরক্কোর চতুর্থ গোল। এই গোলেই বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।
১৯৬৪ সালে অলিম্পিক ফুটবলে অভিষেক হওয়ার পর মরক্কো মাত্র একবার গ্রুপপর্ব টপকাতে পেরেছিল ১৯৭২ সালে। দীর্ঘ ৫২ বছর পর প্যারিস অলিম্পিকে গ্রুপপর্ব টপকে উঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। আর এবার নিশ্চিত করলো সেমিফাইনালও।
আগামী ৫ আগস্ট সেমিফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে স্পেন।