বাসা-বাড়িতে তল্লাশি করছে না পুলিশ, উত্তরায় হতাহত নেই : ডিএমপি

Slider বাংলার মুখোমুখি

সারা দেশে আজ শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশির গুলির ঘটনাও ঘটে।

জুম্মা নামাজের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজধানীর উত্তরার পরিস্থিতি। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় উত্তরার জমজম টাওয়ারের মোড় ও ১১ নং সেক্টর মাইলস্টোনের সামনে গণমিছিলের সময় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেলমেট পরা এক যুবককে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

হেলমেট পর যুবকের গুলি করার দৃশ্যের একটি ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, মাথায় লাল রঙের হেলমেট পরা এক যুবক আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। তার মাথায় হেলমেট থাকার কারণে ওই যুবকের চেহারা দেখা যায়নি। এতে শিক্ষার্থীসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, রাজধানীর উত্তরায় কোনো ধরনের হতাহত বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। সামান্য ঝামেলা হয়েছিল। সেটা পুলিশ বড় করে দেখেনি। কোনো বাসা-বাড়িতে ঢুকে কাউকে আটক বা হয়রানিও করা হয়নি।

জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখনো কোনো হতাহতের খবর পাইনি। এমন কোনো ম্যাসেজ নেই। সেখানে (উত্তরা) তো আমাদের অফিসাররা ছিলেন। তারা জানিয়েছেন তেমন কিছু ঘটেনি।

এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, না, এমন হওয়ার কথা না। যাচাই করতে পারেন, পুলিশ এখন এসব কাজে নেই, পুলিশ এখন এ রকম কোনো কাজ আর করছে না। পুলিশ আসামি ধরার জন্য, কাউকে হয়রানি করছে না। অবৈধ অস্ত্র হাতে কেউ সেখানে ছিল কি না বা গুলির ঘটনা ঘটলে সেটাও জানা যাবে। সত্যতা মিললে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের সার্বিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজকে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। সবখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ছিল। তেমন কিছু তারাও করেনি, পুলিশকেও কিছু করতে হয়নি। উত্তরা ব্যতীত।

তাহলে উত্তরায় আসলে কী ঘটেছিল? কি জেনেছেন? জানতে চাইলে ডিএমপির এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, সেখানে (উত্তরা) এসবি অফিসে ভাঙচুরের একটা অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তবে সেখানে দায়িত্বে থাকা মাঠ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বড় কিছু ঘটেনি, সেখানকার পরিস্থিতি পুলিশ বড় করে কিছু দেখেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *