টঙ্গীতে ভোট বিক্রি প্রতিরোধে খোরশেদ অনুসারী জোটের আত্মপ্রকাশ

Slider গ্রাম বাংলা


টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: ভোট বিক্রির প্রতিরোধে টঙ্গীস্থ গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির সাবেক সফল সভাপতি প্রয়াত খোরশেদ আলম অনুসারী নামে ৫০ থেকে ৬০ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

মঙ্গলবার টঙ্গীর মিলগেট সাবেক ব্লেড ফ্যাক্টরীতে আলোচনা সভার মাধ্যমে এই জোটের ঘোষণা দেন আরোহী ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের মালিক জোটের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন। আলোচনা সভার শুরুতেই সংগঠনের প্রয়াত সভাপতি খোরশেদ আলম, নুরু মিয়া, কামাল উদ্দিন চৌধুরী টিটু, বাবু মিয়া, আলমসহ যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

সভায় জোটের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিগত ১৯ বছর পর ২০ জুলাই এই সংগঠনে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নির্বাচন উপহার পেলাম। যেহেতু পরিবহন ব্যবসা একটি ঝুকিপূর্ণ ব্যবসা। তাই প্রায়ই আমাদের পণ্য পরিবহনকালে দূর্ঘটনা, চুরি, ডাকাতি ও অগ্নিসংযোগের মত মারাত্মক দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এজন্য এতদিন সংগঠনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারেনি। এজন্য আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোন সাহায্য না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বড় অঙ্কের মাসুল দিয়ে নিজেরাই সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করেছি। আমাদের সংগঠনে নির্দিষ্ট ও উপযুক্ত কোন অভিভাবক না থাকায় এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে সঠিক প্রার্থী বাচাই, কালো টাকার কাছে ভোট বিক্রি না করা, জিম্মিদশা থেকে সংগঠনকে মুক্তি, অসাধু লোকদের থেকে দূরে থাকা, বিবেককে সজাগ রাখা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজদের কাছে মাথানত না করা, প্রার্থীর মধ্যে যারা মামলার আসামী তাদের চিহ্নিত করা, সংগঠনের অতীত-ভবিষত নিয়ে চিন্তা করাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তুলে ধরা হয়। বর্তমানে চা দোকানদার ও ডাব বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষও ভোটার। যারা পন্য পরিবহনে জীবনে একদিনও দায়িত্ব পালন করেননি, তারাও ভোটার। একারনে আমাদের ব্যবসা আরও বেশী ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। এটা অশুভ লক্ষন। তাই ২০ জুলাইয়ের নির্বাচনে আমরা খোরশেদ আলম অনুসারী জোটের সদস্যরা টাকার কাছে ভোট বিক্রি না করে উপযুক্ত প্রার্থীকে নির্বাচিত করে এই সংগঠনের ভবিষ্যত কাঠামো মজবুত করা ও সংগঠনকে একটি কাঙ্খিত সেবামূলক লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। কেননা আমরা একটি ভোটের জন্য হয়তো ২/৩ হাজার টাকা পাবো এতে হয়তো ২/৩ দিন চলতে পারবো। তা দিয়ে কারো ভাগ্য পবির্তন হবেনা। সারা বছর পরিবার পরিজন মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের কাজের বিকল্প নেই। শেষে এই জোটের সকলের বিবেক সজাগ রেখে নির্বাচনে কাজ করার আহবান ও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রীতিভোজের মাধ্যমে সভা সমাপ্তি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *