সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিতে আহত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হাসপাতাল ছেড়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে অতর্কিত হামলায় রক্তাক্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রাম্প রিপাবলিকান সম্মেলনে যোগ দেবেন বলেও জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের নভেম্বরের নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনটি চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কানে গুলি লাগার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় যে হাসপাতালে এসেছিলেন, চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে গেছেন বলে বিবিসির মার্কিন পার্টনার সিবিএস নিউজকে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে হাসপাতাল ছেড়ে তিনি ঠিক কোথায় যাচ্ছেন সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।
পেনসিলভানিয়ার বাটলারের সমাবেশের পর তার নিউ জার্সিতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার দল জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দেবেন। ওই সম্মেলনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।
সোমবার ওই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা, যেখানে ট্রাম্পকে তার ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে। প্রচার দল জানিয়েছে, ‘ট্রাম্প ‘ভালো আছেন’ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যারা হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দিয়েছে।’
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। এর আগে সংস্থাটি জানায়, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনাটি ছিল ‘হত্যা চেষ্টা’।
স্থানীয় সময় শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর অতর্কিত ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার মধ্যে হঠাৎ ট্রাম্প নিচে বসে পড়ছেন এবং এরপর তিনি যখন দাঁড়ান তখন তার মুখের এক পাশে রক্ত দেখা যাচ্ছিল।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর এফবিআই এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে সংস্থাটির কর্মকর্তা কেভিন রোজেক বলেছেন, ‘আজকে আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যা হয়েছে তাকে আমরা হত্যা চেষ্টা বলছি।’
তিনি জানিয়েছেন, তাদের এজেন্টরা এখন ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গুলি হওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের সমাবেশের পাশের ভবনের ছাদে কেউ আছে – সেটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জানা ছিল না। তবে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
অন্যদিকে পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের লেফটেনেন্ট কর্নেল জর্জ বাইভেনস বলেছেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা বীরত্বের পরিচয় দিয়ে বন্দুকধারীকে যথাযথ জবাব দিয়েছে।
এর মধ্যে গুলিতে আহত ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারা দুজন আগামী নভেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন।