সব সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পাশাপাশি একই দিন রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করবেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। গণপদযাত্রা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে স্মারকলিপি প্রদান করবে। গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, শেরে বাংলা কলেজসহ ঢাকার সব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে বলে জানান নেতারা।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা কোথাও হামলা ও ভাঙচুর করেনি। গত ১১ জুলাই শাহবাগে পুলিশের সাঁজোয়া যানে কোনো হামলা হয়নি বলে রমনা থানার পুলিশ কর্মকর্তা সেটা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে কেন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো? মামলা যদি দিতেই হয় তাহলে আমাদের নাম উল্লেখ করেই দেওয়া হোক। কারণ এখানে স্পষ্ট যে কারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এছাড়া যারা সেদিন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি যদি না মানা হয়, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।