গাজীপুর: কাপাসিয়ায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এক বাবা তার নিজ মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম স্মৃতি আক্তার (৩৫)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামের সারফুদ্দিনের (৬০)মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সারফুদ্দিন জানা মতে ৪টি বিয়ে করেছেন। নিহত স্মৃতি আক্তার তার প্রথম সংসারের মেয়ে। সারফুদ্দিন তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিলেও স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে সারফুদ্দিনের বাড়ীতেই থাকে। আর সারফুদ্দিন তার এক ভাই রেফাজউদ্দিনের বাড়ীতে থাকে। সকালে স্মৃতি আক্তার তার মাকে নিয়ে রেফাজউদ্দিনের বাড়ীর পাশে চালায় গাছ থেকে কাঠাল সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে সারফুদ্দিন যায়। পরে তাদের মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে সারফুদ্দিন তার হাতের দা দিয়ে স্মৃতি আক্তারকে এলোপাথারি ৪/৫ টি কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে সারফুদ্দিন তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সূত্র আরো জানায়, স্মৃতি আক্তারের বিবাহিত। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। স্মৃতির ২ ছেলে মেয়ে রয়েছে। স্বশুর বাড়ী কালীগঞ্জ ডুবুদিয়ায়। গত ঈদে তারা মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ীর পাশে কাঠাল বাগানে গাছ থেকে কাঠাল সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে এ ঘটনা ঘটে।
ধরপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলাম জানান, বাড়ীর পাশে ধরপাড়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদের পাশে কাঠাল বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের বাবা তার মেয়ের এক হাত কেটে ফেলেছে। গলার অর্ধেক কেটে ফেলেছে। সে ঘটনাস্থলে মারা গেছে।
কাপাসিয়া থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া জানান, পারিবারিক কলহের কারণে বাবা তার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘাতক পিতা ৪টি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। নিহত মেয়ে তার প্রথম সংসারের। ঘটনার পর থেকে বাবা পলাতক। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।