আন্দ্রে গোস এবং হারমিত সিংয়ের ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটিটা একপ্রকার চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের। ১৮তম ওভারে এসেছিল ২২ রান। ১৬ ওভারের পর থেকে এসেছে ৪৫ রান। টি-টোয়েন্টি যুগে এমন রান ম্যাচ জয়ের জন্য বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি অভিজ্ঞতার সামনে। কাগিসো রাবাদা এবং আনরিখ নরকিয়ার দুই ওভার থেকে আসে মোটে ৯ রান। রাবাদার ওভারেই যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের সম্ভাবনা নেমে যায় ২১.২৭ শতাংশে।
শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯৪ রানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র থেমেছে ১৭৬ রানে। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ১৮ রানের ব্যবধানে।
বড় টার্গেটের ম্যাচে শায়ান জাহাঙ্গীরের বদলে স্টিভেন টেইলরকে ওপেনিং করতে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই বাজি শুরুর দিকে বেশ কাজে দিয়েছিল। ওভারপ্রতি প্রায় ৯ রান দরকার ছিল। ১৪ বলে ২৪ রান করে সে কাজটা টেইলর করেছেন ভালোভাবেই। ৩.৩ বলে দলীয় ৩৩ রানে অবশ্য থামে টেইলর ঝড়। রাবাদার বলে আউট হন তিনি।
নীতিশ কুমারের ব্যাট থেকে আসে মোটে ৮ রান। যাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের এত প্রত্যাশা, সেই অ্যারন জোন্স ৫ বলে করেছেন ০ রান। ঝড়ের আভাস দিয়ে কোরি অ্যান্ডারসন ফেরেন ১২ বলে ১২ রান করে। আর শায়ানের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৩ রানের ছোট এক ইনিংস।
এ পর্যন্ত সবই ছিল গতানুগতিক। যুক্তরাষ্ট্র বড় ব্যবধানে হারবে এমন গল্পটাও হয়ত সাজিয়ে ফেলেছিলেন অনেকেই। রাবাদা-নরকিয়ার পাশাপাশি তাবরাইজ শামসি আর কেশব মহারাজরাও ছড়ি ঘুরিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
এরপরেই জ্বলে উঠেন আন্দ্রে গোস। ওপেনিং নেমে দেখেছিলেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া। তারপর শুরু হলো তাণ্ডব। বিপরীতে হারমিত সিংয়ের যোগ্য সঙ্গ। হারমিত আসার আগে তার স্কোর ছিল ২৪। এরপর ২১ বলে তুললেন ৪৯ রান।
পিছিয়ে ছিলেন না হারমিতও। ২২ বলে ৩ ছক্কা আর ২ চারে করলেন ৩৮ রান। রাবাদার করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট না হলে, হয়ত এ ম্যাচের গল্পও হতো অন্যরকম।
এর আগে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের বিশ্বকাপে ফর্মহীনতায় আছেন কুইন্টন ডি কক। ৪০ বলে তার হাত থেকে আসে ৭৪ রান। রান পেয়েছেন অধিনায়ক এইডেন মার্করামও। শেষদিকে ট্রিস্টান স্টাবসের ২০ আর হেনরিখ ক্লাসেনের ৩৬ দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দেয় ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ।