কাপাসিয়ায় কোরবানির হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলা, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

Slider গ্রাম বাংলা

গাজীপুর : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবৈধ কোরবানীর পশুর হাট উচ্ছেদ করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলা ও আসামী ছিনতাই হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন আলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আাসামীরা হলেন, কাপাসিয়া উপজেলার উজলী দিঘির পার গ্রামের মোহর আলী ব্যাপারির ছেলে এম এ জলিল(৬৮) ও একই গ্রামের আব্দুছ ছোবহানের ছেলে ফাইজ(৫৫) উদ্দিন।

আসামী এম এ জলিল, কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আলীগের সভাপতি।

আজ বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) ভোররাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ।

পুলিশ জানায় , গতকাল বুধবার বিকালে কাপাসিয়ার উজলী দিঘির পাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে গরুর হাট বসে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত হাটের ইজারাদারকে হাট সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আ. জব্বারের ছেলে বাজার ইজারাদার আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে বলেন ইউএনও। পরে উত্তেজিত জনতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিলের নেতৃত্বে পুলিশের কাছ থেকে আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয় ও পুলিশকে বেধরক পিটিয়ে জখম করে। অতঃপর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইউএনও ও পুলিশ কনস্টেবল লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় টোক তদন্ত কেন্দ্রের এ এস আই লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২৩ জনের নামে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানকে হয়রানির করতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ইউএনও ও পুলিশের কাছ থেকে ইজারাদারকে উত্তেজিত জনতা ছিনিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে ইজারাদার আমান উল্লাহ কে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।

কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এস আই) রাশেদ মিয়া জানান, পুলিশ পিটানোর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিল ও তার সহযোগী ফাইজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বাধা এবং আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই ঘটনায় জলিল চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *