গাজীপুর : গাজীপুরের টঙ্গীতে পৃথক ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তুরাগ নদ থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার, নির্মানাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু সহ ২৪ ঘন্টায় তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, টঙ্গীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পরে ফয়েজ উদ্দিন (৫০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার(১২ জুন) বিকেল চারটার দিকে টঙ্গী বিসিক এলাকার রেডিয়ান্ট ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড এর নির্মাণাধীন ভবনে এঘটনা ঘটে। নিহত ফয়েজ উদ্দিন কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার ধড়িয়াপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত ফয়েজ উদ্দিন উক্ত কারখানার নির্মাণাধীন ভবনের রুপওয়েস্ট অপারেটিং এ কাজ করছিলেন। এসময় ভবনের ৫ম তলার ছাদে আকস্মিক ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান তিনি। এসময় তার মাথা ও মুখমন্ডলে গুরুতর জখম হয়। পরে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে টঙ্গী ব্রীজের নীচে তুরাগ নদী থেকে অজ্ঞাত কিশোর (১৪) এর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
টঙ্গী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ( এসআই) আঃ মান্নান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় নদীর মাঝখান থেকে লাশটি নদীর পাড়ে এনে হেফাজতে নেন এবং মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। ভিকটিম গতকাল সকাল অনুমান ১০টার দিকে টঙ্গী বেলি ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে তুরাগ নদীতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানায় পুলিশ।
এছাড়া টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর মদিনাপাড়া এলাকায় জনৈক মুজিবুর রহমানের বাসার ভাড়াটিয়া নয়ন মোল্লা(২৫) গতকাল রাতে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে মারা যায়। নিহত নয়ন মোল্লা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার সাপলিডাঙা গ্রামের মো: বালাম মোল্লার ছেলে। তিনি টঙ্গীতে বাংলালিংক কোম্পানিতে সীম বিক্রিয় কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কি কারনে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।