গাজীপুর: গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের ৫৭ টি ওয়ার্ডে ১৮টি কোরবানির পশুর হাট ছিল। এরমধ্যে তিনটির ইজারা বাতিল করেছে সিটি কর্পোরেশন। সব মিলিয়ে সারা জেলায় এখন ১০১টি কোরবানীর পশুর হাট বসেছে।
গতকাল বুধবার (১২ জুন) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সহকারী সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান মৃধা এই সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গাজীপুর সিটিকরপোরেশনে মোট ১৮টি কোরবানীর পশুর হাট বসে। এরমধ্যে মীরের বাজার, নাওজোর ও কাশিমপুর হাটের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ১৩ টি হাটের মধ্যে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আরো দুটি হাটের ইজারা দেয়। ফলে মোট ১৮টি হাটের মধ্যে ১৫ টি হাট এখন বৈধ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় কোরবানীর পশুর হাট টঙ্গী। টঙ্গী পূর্ব থানার পিছনে টঙ্গী -জয়দেবপুর সড়ক ও আশপাশের সড়কে বসছে এই বাজার। ভালো করে হাট না জমার কারণে এখনো হাটের ভেতর দিয়ে পাকা সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। তবে ভীড় হয়ে গেলে টঙ্গী -জয়দেবপুর সড়ক সহ ছোট ছোট আরো কয়েকটি সড়ক বন্ধ হয়ে যাবে।
টঙ্গী পশুর হাটে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে এসেছেন টিটু খান। তিনি বলেন, আমার গরুটি আড়াই লাখ টাকা দাম চাই তবে এখনো কোন ক্রেতা আসেনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙা থানার সাকিল আহমেদ কালের কন্ঠকে বলেন, ১৬ টি গরু এনেছি। এখনো দামাদামি হয়নি।
টঙ্গী কোরবানির হাটে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ও স্শেশাল ব্রাঞ্জ আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।
টঙ্গী গরুর হাটে আসা লোকজন বলছেন, ক্রেতার সংখ্যা গতবারের চেয়ে কম। তবে এখনো সময় আছে, ক্রেতা বাড়ার।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের আলাদা আলাদা টিম পোষাকে ও সাদা পোষাকে কাজ করছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।
এদিকে আস্তে আস্তে জমে উঠছে পশুর হাট। গাজীপুর জেলার একটি সিটিকরপোরেশন, তিনটি পৌরসভা ও পাঁচটি উপজেলায় পশুর হাট বসবে ১০১টি। চাহিদার তুলনায় পশুর সংখ্যা কম আছে ৭৫ হাজারের বেশী। চাহিদা পূরণে আশেপাশের জেলা সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ। তবে কোরবানীর পশুর হাট নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনায় টঙ্গীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গাজীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: নারগিস খানম পশুর হাট ও চাহিদার বিষয়ে জানান, গাজীপুর জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা আছে এক লাখ ৮৭ হাজার ২০০টি। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৬০২টি পশু। চাহিদার তুলনায় কম আছে ৭৫ হাজার ৫৯৮টি পশু। গাজীপুর জেলার আশেপাশের জেলা থেকে চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করছে গাজীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।