বোলারদের কল্যাণে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ দলের সামনে। শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১২৪ রানে থামিয়ে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানরা। কিন্তু এমন সহজ লক্ষ্যের সামনেও পা হড়কাতে ভুল করেননি সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। সৌম্য তো টিকলেন মাত্র দুই বল, স্লগ সুইপ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন ডাক নিয়ে। আরেক ওপেনার তানজিদও ৩ রানে ফিরলেন।
ক্রিজে বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি ওপেনার, সে কারণে পার্টটাইমার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে দিয়ে আক্রমণ শুরু লঙ্কানদের। তাকে প্রথম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন সৌম্য। তবে তিনি ধীরস্থির থাকতে পারলেন না মিড অনে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে বসেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে। ছোট পুঁজির সামনে যেভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলার কথা, সেটি হতে দিলেন না ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারে নুয়ান থুসারার ফুললেংথের বলে ব্যাট চালান তানজিদ। ব্যাট বলের লাইন মিস করে তিনি বোল্ড হয়ে যান।
মাত্র ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে পাল্টা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ কমানোর কথা ছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। উল্টো ১৪ বলে ৭ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে ফিরেছেন ক্যাচ দিয়ে। তাকেও ফেরালেন থুসারা, বেশ বাইরের ফুল লেংথের বল শর্টে থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারাল টাইগাররা।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কাকে বল হাতে নাজেহাল করেছেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও তাসকিনরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি রিশাদ-ফিজ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। জোড়া উইকেট নেন তাসকিনও। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। এ ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান না পাওয়ায় অল্প পুঁজিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লঙ্কানদের।