শাহজালাল বিমানবন্দরের ১২ প্লেন বাজেয়াপ্ত

Slider জাতীয়


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ১২টি এয়ারক্রাফট বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের এরোড্রামস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন শাখার সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) দপ্তরের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিত্যক্ত এয়ারলাইন্সের মধ্যে আটটি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের, দুটি রিজেন্ট এয়ারওয়েজের, একটি জিএমজি এয়ারলাইন্সের, একটি অ্যাঞ্জেল এয়ারওয়েজের।

বেবিচকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে বেবিচক থেকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হলেও সংস্থাগুলো থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই এগুলো বাজেয়াপ্ত করা হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গোর সামনের অ্যাপ্রোন দীর্ঘদিন ধরে ১২টি উড়োজাহাজ ও আনুষঙ্গিক মালামাল অব্যবহৃত, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উড়োজাহাজগুলো অপসারণ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্রের মাধ্যমে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজগুলো অপসারণ করার বিষয়ে অদ্যাবধি কোনরূপ কার্যক্রম গ্রহণ না করার ফলে রপ্তানি কার্গো এলাকায় নিয়মিত/অনিয়মিত ফ্লাইটের পার্কিং, উড়োজাহাজে মালামাল বোঝাই ও যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি পার্কিংয়ের জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে নতুন/অনিয়মিত কার্গো ফ্লাইটের অনুমোদন প্রদান, বিমানবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সার্বিক এভিয়েশন কর্মকাণ্ড এবং দেশের রপ্তানি উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সুযোগ সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভবপর হচ্ছে না।

এক্ষেত্রে শুধু এভিয়েশন কার্যক্রমই নয় বরং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তথা বাংলাদেশ সরকার কার্গো ফ্লাইট এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার রাজস্ব থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সিভিল এভিয়েশন রুলস-১৯৮৪ এর ৩৩০ বিধির ২ নম্বর বিধি অনুযায়ী এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয় এবং উল্লিখিত এয়ারলাইন্সগুলো/অপারেটর বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে উল্লিখিত উড়োজাহাজসহ আনুষঙ্গিক গ্রাউন্ড সার্পোট ইকুইপমেন্টস পার্কিং এরিয়াতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, যা আনুমানিক ১ লাখ ৯২ হাজার ১০০ স্কয়ার ফুট জায়গা দখল করে রয়েছে। এই জায়গা পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো অপসারণ করা হলে আনুমানিক ১২টি বে-পার্কিং প্রস্তত করা যাবে। পার্কিং বে-গুলো ব্যবহার করতে না পারার দরুন দৈনিক বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক আয় ও রাজস্ব থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বঞ্চিত হয়ে আসছেন।

বাজেয়াপ্ত হওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৪টি এমডি-৮৩, ১টি এ-৩১০-৩২৫, ১টি এটিআর ৭২-২০২, ১টি এটিআর ৭২-১২, একটি ড্যাশ-৮, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ২টি ড্যাশ-৮, অ্যাঞ্জেল এয়ারওয়েজ লিমিটেডের একটি এএন-২, জিএমজি এয়ারওয়েজের ১টি এমডি-৮২ মডেলের এয়ারক্রাফট।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজগুলো নিলামের বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। নিলামে বিক্রির গ্রাহক না পেলে এগুলো কেজি দরে বিক্রি করা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *