একজন ব্যক্তিরই ১০টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), কেউ আবার ভুল তথ্য দিয়ে বদলে ফেলছেন নাম পরিচয় সব কিছুই। আবার হাজার হাজার জীবিত মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে। কিন্তু এর বিপরীতে সামান্য ভুলে অনেকে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেও বছরের পর বছর ঘুরছেন নির্বাচন কমিশনে।
সম্প্রতি এনআইডি জালিয়াতির বেশ কিছু ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই সংস্থাটি জানায়, এনআইডি জালিয়াতিতে বেশ কয়েকটি দালাল চক্রের সাথে জড়িত নির্বাচন কমিশনেরই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে এমন ব্যক্তিও পেয়েছি যিনি নির্বাচন কমিশন থেকে ১০টি এনআইডি করে, একটি ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে ১০টি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লোনও নিয়েছেন।’
তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আঙ্গুলের ছাপ বাধ্যতামূলক থাকার পরও এক ব্যক্তি হাতে কিভাবে ১০টি এনআইডি করতে পারে?’
জবাবে নির্বাচন কমিশন বলছে, এনআইডি প্রকল্পের কিছু কর্মচারী বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন, সেটি তাদেরও নজরে রয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা কয়েকজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে বিভাগীয় মামলাও করেছি। আর যারা আউটসোর্সিংয়ের জনবল, তাদের চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’
জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধ বন্ধে এনআইডি সার্ভারের নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
সাবেক নির্বাচন কমিশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন সময় এনআইডি জালিয়াতি ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম এলেও কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এ কারণেই এসব অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছে না।’
এক ব্যক্তির ১০টি এনআইডিতে ১০ ব্যাংকের ঋণ
২০০৮ সাল থেকে সারাদেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার পরই চালু হয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। এই এনআইডিতে আঙ্গুলের ছাপ যুক্ত থাকায় বন্ধ হয়েছিল ভুয়া ভোটার।
এ কারণেই নাগরিকদের পরিচয় শনাক্তে ২০১২ সালের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আস্তে আস্তে এনআইডি বাধ্যতামূলক করে। ব্যাংক বা আর্থিক সেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এনআইডির বিপরীতে নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নাগরিক সেবা দিয়ে থাকে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, বর্তমানে সারাদেশের ১৭৪টি প্রতিষ্ঠান ইসির এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে বিভিন্ন নাগরিক সেবা দিয়ে থাকে।
অনেক জায়গায় এনআইডি বাধ্যতামূলক থাকায় এই সুযোগটিকে দীর্ঘদিন ধরে কাজে লাগাচ্ছে একটি চক্র। কখনো অন্যের নাম ধারণ করে ব্যক্তির, কখনো বা পুরো পরিবারের নাম পরিচয়ও ধারণ করছে।
এমন বেশ কিছু ঘটনার তদন্তে নেমে নানা ধরনের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেশিভাগ ক্ষেত্রে এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত করে থাকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
সিআইডি বলছে, গত মাসে তারা তদন্তে এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে, যিনি নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সার্ভার থেকে ১০টি এনআইডি বিভিন্ন নামে সংগ্রহ করেছে। ওই এনআইডি ব্যবহার করে টিআইএনও প্রস্তুত করেছেন তিনি।
ওই জালিয়াতি চক্রের অন্যতম সদস্য নির্বাচন কমিশনের এনআইডি প্রকল্পের কর্মচারী জয়নাল আবেদীনকে আটকও করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক করা হয় পুরো চক্রের ১০জনকে।
সিআইডির তদন্তে বের হয়ে এসেছে, ভুয়া এনআইডি প্রস্তুতের পর ওই এনআইডি এবং টিআইএন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল তৈরি করত চক্রের সদস্যরা। পরে এ সব দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ (বন্ধকি ঋণ) দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিত। এভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় চক্রটি।
সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘ব্যাংক যখন দেখে দলিল ও এনআইডি কার্ডের মিল আছে, তখনই ব্যাংক লোন দেয়।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আঙ্গুলের ছাপ ও এত নিরাপত্তা দিয়ে এনআইডির বিধান চালুর পরও কেন অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না?’
ছয় বছরে বয়সে ভোটার হয়েছিলেন যিনি
রাজধানীর রমনা থানার ভোটার মো: জসিম উদ্দিন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হন। তখন তার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম সাল ছিল ১৯৯১।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে জসিম উদ্দিন এনআইডির বয়স সংশোধনের আবেদন করেন নির্বাচন কমিশনে। একই সাথে পিতা-মাতার নামও বদলের আবেদন জানান।
তার ওই আবেদনের পর নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এটি নিয়ে তদন্ত করেন। তদন্তে তারা দেখতে পান যে তিনি তার এনআইডি সংশোধনে যে সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন সেটি একটি ভুয়া সার্টিফিকেট।
কেন না, ইসির কর্মকর্তারা সার্টিফিকেট যাচাই করতে গিয়ে দেখেন ওই ব্যক্তি যে সার্টিফিকেট দিয়েছেন সেখানে পিতার নাম অনিল মণ্ডল ও মাতার নাম রয়েছে বিমলা রানী বৈরাগী। অর্থাৎ তিনি একটি ভুয়া সনদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন।
ইসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদন্ত রিপোর্টে জানান, ২০০৯ সালে ভোটার হওয়া ওই ব্যক্তি তার প্রকৃত জন্মসাল দিয়েছেন ২০০৩। তার চাহিদা অনুযায়ী তার এনআইডি সংশোধন করে বয়স ১৩ বছর কমানো হলে এটা প্রমাণিত হয় যে তিনি মাত্র ছয় বছর বয়সে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্মকর্তারা তদন্ত রিপোর্টে এসব বিষয় উল্লেখ করলেও গত এপ্রিলে নির্বাচন কমিশনের একটি এনআইডি শাখা থেকে তার এনআইডি কার্ডটি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়।
এনআইডির দুই শাখা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিবের স্বাক্ষরের পরই নতুন এনআইডি কার্ড পান মাত্র ‘ছয় বছর বয়সে ভোটার হওয়া’ জসিম উদ্দিন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এখন থেকে ১০-১৫ বছর আগে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন না থাকার কারণে ভোটার হওয়া খুবই সহজ ছিল।’
তার স্বাক্ষরে ওই ব্যক্তি ১৩ বছর বয়স কমালেও তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘ছয় বছরে ভোটার হওয়া তো একটা অপরাধ। এত কম বয়সে সে ভোটার হলো কিভাবে?’
এনআইডি সংশোধনে পদে পদে ভোগান্তি
আগারগাঁওয়ের এনআইডি দফতরের প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাদের নানা সমস্যা নিয়ে হাজির হয়। বেশিভাগই আসে নাম ও বয়স সংশোধনের জটিলতা নিয়ে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কারো নাম, বয়স কিংবা জন্ম তারিখের সংশোধন করতে হলে তার এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী সংশোধন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
তবে সে এসএসসি পাশ না হলে ছোটখাটো সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে সংশোধন করাতে পারবে নাম ও জন্ম তারিখ। কিন্তু নিয়ম থাকলেও নির্বাচন কমিশন তাদের এই আইন মানছে না বলে অভিযোগ।
ঢাকার তিতুমীর কলেজে পড়তেন গাজীপুরের তরুণ আব্দুল গফুর। পিতৃহীন সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরিরও চেষ্টা করেন। কিন্তু সার্টিফিকেট আর এনআইডিতে মিল না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদনের সুযোগই পাননি।
এরপর পাঁচ বছর আগে তিনি নির্বাচন কমিশনে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। এখন আব্দুল গফুর চাকরির আশা ছেড়ে টিউশনি করে সংসার চালাতে শুরু করেছেন। ছেড়েছেন পড়াশোনাও।
নির্বাচন কমিশন বলছে, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ এনআইডি সংশোধনের আবেদন জমা পড়ে আছে। সংশোধনের আবেদন করে অনেকে নির্বাচন কমিশনে ঘুরেও কোনো ফল পাচ্ছেন না।
নির্বাচন কমিশনের এই সার্ভার থেকে দেশের ১৭৪টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকে সংশোধনের আবেদন করেও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে আবেদনের পরও কেন এনআইডি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের এত গাফিলতি?
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘কিছু কিছু কর্মকর্তার উদ্যোগের অভাব আছে। সে কারণেও কোথাও কোথাও এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি হচ্ছে। তবে যে কর্মকর্তারা নিজে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন, সেখানে দ্রুত সমস্যার সমাধান হচ্ছে।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সারাদেশে নির্বাচন কমিশনের থানা ও জেলায় অফিস থাকার পরও সেগুলোর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। সেই সাথে নজরদারির অভাবে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।’
জীবিতদেরও কেন মৃত দেখাচ্ছে এনআইডি সার্ভার?
নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দেয়া মৃত্যু সার্টিফিকেটের মাধ্যমে কারো নাম এনআইডি থেকে বাদ দিতে হয়।
কিন্তু গত কয়েক বছরে এমন অসংখ্য মানুষ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন যারা সবাই বেঁচে আছেন, কিন্তু এনআইডি সার্ভার তাদের মৃত দেখাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার পটুয়াখালীর ভোটার নাসির উদ্দিন আসেন নির্বাচন কমিশনে। কেন না তিনি পাসপোর্ট করতে গিয়ে দেখেন তার এনআইডির কোনো হদিস সার্ভারে নেই।
এরপর তিনি এনআইডি দফতরে এলে কর্মকর্তারা তাকে জানান, তিনি মারা গেছেন।
নাসির উদ্দিন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি বেঁচে আছেন। তারপর আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন তিনি মারা যাননি।
কিন্তু কর্মকর্তারা তাকে বলেন, তিনি যে বেঁচে আছেন সেটি প্রমাণ দিতে তাকে যেতে হবে তিনি যে জায়গার ভোটার সেই পটুয়াখালীর বাউফলে।
পরে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি জীবিত একজন যুবক মানুষ। আমাকে কেন মৃত বানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন আমার মাথায় আসে না!’
নির্বাচন কমিশন বলছে, সারাদেশের এমন কয়েক হাজার মানুষ জীবিত থাকার পরও তাদের সার্ভার থেকে মৃত দেখাচ্ছে।
কিন্তু জীবিত লোককে কেন সার্ভার মৃত দেখাচ্ছে?
ইসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ যারা করেন, তারা যাচাই বাছাই না করে অনেককে ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের সুপারিশ করেন। আবার দুয়েক জায়গায় সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশেও এটি করা হয়ে থাকে কৌশলে।’
অতীতে এমন কয়েকটি অনিয়মে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে সিআইডির তদন্তে।
অনিয়মে জড়িত ইসি কর্মকর্তারা
সিআইডির তদন্তে নির্বাচন কমিশনের আইডিয়া প্রকল্পের কর্মচারীদের জড়িত থাকার বিষয়টি নতুন নয়। কেন না গত কয়েক বছরে সারাদেশে বেশ কিছু ঘটনার তদন্তে নেমে প্রায় প্রতিটি ঘটনায় ইসির কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।
এমন অভিযোগ আসার পর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সার্ভারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ছয় বছর আগে কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড এবং ওটিপি চালু করে ইসি। কিন্তু তারপরও বন্ধ হয়নি এসব অনিয়ম।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখার উপপ্রকল্প পরিচালক মেজর মাহবুবুল হকের আইডি থেকে বেআইনিভাবে চার হাজার ৯৮৯টি এনআইডি সংশোধনের বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে ইসির তদন্তে।
এরপর ওই আইডি থেকে যে সব এনআইডি সংশোধন করা হয় সেগুলো সব লক করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন এরপর তদন্তে নেমে নিজ কর্মকর্তাদের এসব অনিয়মে জড়িত থাকার তথ্য পায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইসির কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় নিয়ম বর্হিভূতভাবে বেশ কিছু এনআইডি সংশোধন করেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফরিদপুর, কুমিল্লা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের এনআইডি সার্ভারের ইউজার আইডি থেকে বিধি ভেঙে বেশ কিছু এনআইডি সংশোধনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে ওই কর্মকর্তাদের আইডি থেকে সংশোধিত হওয়া এনআইডিগুলো লক করার নির্দেশও দেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন বলছে, বিভিন্ন জায়গায় এনআইডি সংশোধন ও জাল এনআইডি তৈরিতে যে সব অনিয়ম হচ্ছে সেগুলো তাদের নজরে রয়েছে। সিআইডির তদন্তে প্রমাণের সাথে সাথে সেগুলো নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় আমাদের কর্মকর্তারা আইটিতে দক্ষ না থাকার কারণে তাদের অধীনস্থ ডাটাএন্ট্রি অপারেটরদের ওটিপি পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন। ওই অপারেটররা বিশ্বাস ভঙ্গ করে এনআইডি সংশোধন করে থাকেন।’
সূত্র : বিবিসি