বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে আজ বুধবার সকালে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। শনিবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে তা দেশের উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কাও রয়েছে।
লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। আরবি রেমাল শব্দের অর্থ বালি। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া নাম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্যে বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামীকাল সকাল অথবা দুপুরের মধ্যে লঘুচাপটি নিম্নচাপ হতে পারে। শুক্রবারের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপ ও পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও তা কোথায় আঘাত করতে পারে তা এখনি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তখন এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা যাবে। তবে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ দেশে বৃষ্টিপাতের এলাকা ও পরিমাণও অনেকটাই বেড়েছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি পর্যবেক্ষণাগারের মধ্যে ১৯টিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বগুড়ায়, ৮০ মিলিমিটার।
এ ছাড়া নওগাঁর বদলগাছীতে ৬৭ মিলিমিটার, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২৯ মিলিমিটার এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকাতে ওই সময় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। এতে তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের এলাকাও কিছুটা বাড়তে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম বাড়তে পারে।
তবে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর প্রভাবে শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে সারা দেশে। এদিন খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।