ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও সহিংসতার তেমন ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই পর্যন্ত ভোটের হার ৩০ শতাংশের বেশি। বুধবার (২২ মে) পুরো বিষয় জানা যাবে।
ভোটরে সময় বিভিন্ন অপরাধে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাল ভোটের অপরাধে ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেয়া হয় বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে দেশের ১৫৬ উপজেলার ১৩ হাজার ১৬টি ভোটকেন্দ্রে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে ২৪টিতে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। তবে তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন কারণে পাঁচটি উপজেলার ভোট স্থগিত রয়েছে। বিকেল ৪টায় ভোট শেষে চলে গণনা।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তিনপদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্য চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সেই সঙ্গে তিন পদে ২২ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। দুই উপজেলায় তিনপদে সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন।
এবার দেশের ৪৯৬ উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা নির্বাচনে চার ধাপে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দিলেও নানা জটিলতায় গত ৮ মে ভোট হয় ১৩৯টিতে।
প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২৮ জন প্রার্থী (চেয়ারম্যান আট জন, সাধারণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন করে)। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।