চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকায় একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। এসময় ফুটপাতে থাকা অন্তত ৬ জন লরির ধাক্কায় পুকুরে তলিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই মোড়ে প্রজাপতি পার্কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ৪ বছর বয়সী এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়। নিহত শিশুর নাম এখনও জানা যায় যায়নি। এছাড়া নিহত আরেকজনের নাম আসাদুজ্জামান সানি (১৯)। নিহত সানির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
একই দুর্ঘটনায় আহত আরও ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- ইমরান (৮), নুরুল আমিন (২১), তাসপিয়া (২০) ও নুসরাত (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লরিটি ঘটনার কয়েক মিনিট আগে আরেকটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এরপর দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িটি গতি বাড়িয়ে দেয়। এতে প্রজাপতি পার্কের পাশে মোড় নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ফুটপাতে থাকা ছয়জনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটিসহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে পাঁচজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে আসাদুজ্জামান সানি নামে একজন মারা যায়। অন্যদিকে শিশুটি অনেকক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর রাত ১টার দিকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় হতাহতরা বেশিরভাগই একই পরিবারের। তারা পার্শ্ববর্তী নেভালে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন। ফুটপাতে হাঁটার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মামুনুর রশীদ বলেন, দুর্ঘটনার পর আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে শিশুটির মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পতেঙ্গা দুর্ঘটনায় ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।