ছবি( গ্রেপ্তারকৃত স্ত্রী, শশুর ও শ্যালক সহ চারজন)
গাজীপুর : ঈদের মার্কেট নিয়ে শশুর বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া করাকে কেন্দ্র করে জামাইকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী, শশুর ও শ্যালক সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের বাহুতে কামড় দিয়ে চোখে মুখে ও প্যানিসে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে বলছে পুলিশ।
শনিবার(১১ মে) জিএমপির পূবাইল থানা পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রবিউলের স্ত্রী কারিমা বেগম(২২), শশুর আবুল কালাম আজাদ (৪৫), শ্যালক হুমায়ুন কবির(১৯) ও প্রতিবেশী লিটন মিয়া(৪৬)। প্রথম তিনজনের স্থায়ী বাড়ি শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার বালুঘাট গ্রামে। লিটনের স্থায়ী বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নড়ীয়া থানার আইটপাড়া গ্রামে। পূবাইলের সাতানীপাড়া এলাকায় থাকতেন তারা।
জানা যায়, গাজীপুরের পূবাইল এলাকার সাতানীপাড়া গ্রামে রবিউল ইসলাম(২৮) নামে এক ব্যাক্তিকে গত রবিবার শশুর বাড়িতে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। রবিউল টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার দুই নাম্বার ব্লকের তুহিন তালুকদারের ছেলে। এরপর আহতকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে গাজীপুরের পূবাইল থানার সাতানিপাড়া এলাকার কালাম মিয়ার মেয়ে করিমার সঙ্গে বিয়ে হয়। গত রবিবার (৫ মে) স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন রবিউল। ওইদিন রাতেই স্ত্রী করিমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় রবিউলের। এর একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সকলে মিলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। এসময় বাঁশের মোটা লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামীরা নিহতের পেনিসে আঘাত গুরুতর জখম করে। ডান হাতের বাহুতে কামড় দিয়ে জখম করে এবং দুই চোখে আঘাত করে রক্ত জমাট বাঁধা জখম করে ঘরে ফেলে রাখে। পরে আহত অবস্থায় রবিউলকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। টঙ্গী হাপসাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সুরতহাল শেষে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ তুহিন তালুকদার (৬০) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় চার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা করা হয়েছে।