খুব সকালেই কালো মেঘে ঢেকে যায় ঢাকার আকাশ। ৭টা বাজতে না বাজতেই শুরু হয় বৃষ্টি, যা চলে প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আর দেড় ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়াদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায়, মোহাম্মদপুর, ইসিবি, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সকালে যারা কাজে বের হয়েছিলেন বৃষ্টির কারণে তাদের পড়তে হয়েছিল ভোগান্তিতে।
সকালে বৃষ্টির পর হাতিরঝিলের অংশ দিয়ে কারওয়ানবাজারে অফিসে যাওয়া হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েকজায়গায় জলাবদ্ধতা পেয়েছি, এছাড়া আমার সহকর্মীরাও জানিয়েছে তাদের বেশিরভাগই পথে আসার সময় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখেছে এবং ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে সকাল সকাল কাজে বের হওয়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভিডিওসহ জলাবদ্ধতার কারণে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টগুলোতেও বিভিন্নজন বিভিন্ন এলাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝরবে বৃষ্টি, কমবে দিনের তাপমাত্রা।
শনিবার (১১ মে) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। লঘুচাপটির বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর ফলে ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং দেশের বাকি অঞ্চলের দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এক ঘণ্টার মধ্যে এসব বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।