সামদানি হোসেন বাপ্পী,ময়মনসিংহ: স্মার্ট শিক্ষা স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্য এ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইনস্টিটিউট হোস্টেল মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ মোঃ শওকত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক সুলতানা রাজিয়া, খান ব্রাদার্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এনামুল কবীর খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহরুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বায়নের সাথে সাথে নিজেদের আরও যোগ্য করে ও কারিগরি শিক্ষায় আরো দক্ষ করে তুলতে হবে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো দক্ষ ও অত্যাধুনিক হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব সরঞ্জামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে, সেসব সরঞ্জামসমূহ অত্যাধুনিক হতে হবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমার কর্মজীবনে এই প্রথম এ ধরনের অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত । তিনি মেলায় আগত চাকরিদাতা কোম্পানিদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি আপনাদের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপের ব্যাপারে একটু সচেতন হতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা আরো দক্ষ হতে পারে। দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কারিগরি অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বলেন, এ মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে কোম্পানিগুলোর একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের প্রত্যাশিত চাকরির সন্ধান এবং একই সাথে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কর্মজীবনের বিভিন্ন বাস্তব অভিজ্ঞতার ব্যাপারে জানতে পারবেন। এ সময় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সব সময় কারিগরি শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সাহায্য করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বলেন, এ বছর মোট ৩৮ কোম্পানির প্রতিনিধি এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। যার মাধ্যমে আমাদের এই পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। শিক্ষক হিসেবেও আমার আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করি। তিনি আরো বলেন, গত বছর এ মেলার মাধ্যমে প্রায় ২৯ জন শিক্ষার্থী চাকরি লাভ করেন। এ বছরও আশা করি গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ শিক্ষার্থী চাকরি লাভ করবে।