নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে আসন্ন সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন লুৎফুল হাবীব রুবেল। রুবেল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে নাটোরের সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন লুৎফুল হাবীব রুবেল।
ভিডিওতে নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে লুৎফুল হাবীব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০০৫ সালে গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ইউনিয়ন পরিষদেও পরপর তিনবার নির্বাচিত হই। গত ৩ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। আর গত ৮ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সাবমিট করি। তারপর থেকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে।
লুৎফুল হাবীব রুবেল আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তারই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়নপত্রটি উইথড্র (প্রত্যাহার) করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রসেস রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।
ভিডিও বার্তার বিষয়ে কথা বলতে লুৎফুল হাবীব রুবেলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভিডিওটা আমাকেও পাঠানো হয়েছে। তার (লুৎফুলের) লোকজন ফোন দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।
নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, লুৎফুল হাবিব রুবেলের ভিডিও বার্তার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত রুবেল বা তার কোনো বৈধ প্রতিনিধি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।