ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন— জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
এ ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দু’টি করে আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মির, লাক্ষাদ্বীপ এবং পন্ডিচেরিতে। বিহারের চার আসনেও শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
মণিপুরে মোট দু’টি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দু’দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার তাই আউটার মণিপুরের একাংশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বাকি অংশে ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল।
পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয় আসন, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ করাচ্ছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।
ভোট শুরুর ঠিক আগে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে দেশবাসীকে রেকর্ড সংখ্যক ভোটগ্রহণের আবেদন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, মারাঠি, বাংলা এবং অসমিয়া— মোট ছয় ভাষায় পোস্ট করেন তিনি।
মোদী তার পোস্টে লেখেন, ভোটারদের প্রতি আমার আবেদন রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানের। বিশেষ করে তরুণ ও প্রথমবারের ভোটদাতাদের আমি বিপুল সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান জানাই। সর্বোপরি, প্রত্যেকটি ভোটের গুরুত্ব আছে, আর প্রতিটি কণ্ঠস্বরই গুরুত্বপূর্ণ!
প্রথম দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার আট মন্ত্রী। বেশ কয়েক জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন ভোটযুদ্ধে। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রসহ ১০২টি আসনের মধ্যে মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছিল তারা। এ বার কয়েকটি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।