গ্রাম বাংলা ডেস্ক: দ্রুত নির্বাচনে সংলাপ না হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত ইফতার পার্টিপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে কোনো জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সংকট সমাধানে আলোচনার ব্যাপারে সরকারের কোনো আগ্রহও নেই। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, সরকার যদি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান না করে আন্দোলন ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প পথ থাকবে না।
ওয়েস্টিন হোটেলে এই ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এতে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
ইফতারের আগে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানের টেবিলে টেবিলে গিয়ে আমন্ত্রিত অথিতিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে বাংলাদেশসহ মুসল্লিম উম্মার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত হয়।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন,দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত। জনগনের মৌলিক অধিকার নেই। পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রতিনিয়ত গুম-খুন হচ্ছে। দেশের মানুষের সংকট সমাধানে সরকারের কোনো নজর নেই। তারা লুটপাট ও দুর্নীতিতে ব্যস্ত।
বর্তমান জাতীয় সংসদের কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করে সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, বর্তমান জনপ্রতিনিধিত্বহীন সংসদে জনগনের সমস্যার সমাধান নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। সেখানে গান-বাজনা, কবিতা পাঠ করা হয়। সংসদ এখন সংদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ১৮ দল ছিলো। এখন ২০ দল হয়েছে। আরো অনেকে যোগাযোগ করছে। আমরা সবাইকে আজ দেশ ও জনগনের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে সরিয়ে সব দলের অংশ গ্রহনের একটি নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলনের কথা বলছি। অথচ সরকারের সেদিকে নজর নেই।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য টিআই ফজলে রাব্বী, মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, এসএম আলম, গাজীপুরের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান প্রমূখ।
ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, জামায়াতে ইসলামী সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, শামীম সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, এলডিপি‘র রেদোয়ান আহমেদ, জাগপা‘র শফিউল আলম প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি‘র শেখ শওকত হোসেন নিলু, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি‘র খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, আলমগীর মজুমদার, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির আবদুল মবিন, এম এ রশীদ প্রধান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ন্যাপ ভাসানীর মো. আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীব নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, বিজেপি‘র সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমূখ ইফতারে অংশ নেন।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জসিম উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, অধ্যাপক পিয়াস করীম, ব্যারিস্টার তুহিন মালিক, সাংবাদিক সাদেক খান, মাহফুজউল্লাহ, এ এম এম বাহাউদ্দিন প্র্রমূখ এই ইফতারে ছিলেন।
ইফতারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, মরক্কো, ভিয়েতনামের কুটনীতিকরা অংশ নেন।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন, ড. আর এ গনি, আ স ম হান্নান শাহ, ড. আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, শমসের মবিন চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আবদুল কাউয়ুম, আবদুস সালাম, শিরিন সুলতানা, শ্যামা ওবায়েদ প্রমূখ।