রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা, হচ্ছে ‘কালবৈশাখী’ অনুষ্ঠান

Slider রাজশাহী

আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। শুরু হলো বাংলা ১৪৩১ সাল। আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিতে সর্বত্র চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। প্রতি বছর বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ বছর কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। থাকছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা।

ঈদের ছুটির কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাস খোলার পর ‘কালবৈশাখী’ নামে করা হবে বিকল্প অনুষ্ঠান।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা সবাই বাড়িতে। এ বছর তাই পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা একটা প্রস্তাব দিয়েছে, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের পরিবর্তে “কালবৈশাখী” নামে বৈশাখ মাসের শেষদিন অথবা জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথমদিন, এরকম সময়ে একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। আমরাও এটিই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৈশাখ মাসের শেষদিকে কালবৈশাখী নামে একটি অনুষ্ঠান করা হবে।’

কী বলছেন ছাত্রনেতারা

ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল, এটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে এই উৎসব করতে পারছে না বলে যে অজুহাত দেখানো হচ্ছে, এতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখা আমাদের কর্তব্য। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে কী থাকে না, এটা দেখা দরকার ছিল না। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামীতে দিবসগুলোর বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।’

সামাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘ক্যাম্পাস যেহেতু বন্ধ, শিক্ষার্থীরা নেই; সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠান আয়োজন করার বাস্তবতাও নেই। তবে পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এখানে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, এর মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসন এবং দেশে চলমান বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়। আমাদের উচিত এই ঐতিহ্য ধরে রাখা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *