বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটে গ্রেপ্তার আরও ৪৯

Slider জাতীয়


বান্দরানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি এবং আনসার ও পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা ৭টি মামলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আরও ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাদের বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী রয়েছেন।
এর আগে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আরাফাত আমিন ঢাকা পোস্টকে জানান, বান্দরবানের রুমায় বেথেলপাড়ায় সেনা অভিযানে সাতটি দেশি বন্দুক, ২০টি কার্তুজ, কেএনএফের ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও কেএনএফের সক্রিয় দুইজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার সহকারী ক্যাশিয়ার লালতন লিয়ান বমকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা অন্য আরেকটি বিষয়। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।

এদিকে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি বলেন, ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা ৭টি মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় ব্যাংকের ভোল্টের চাবি না পেয়ে ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা। এছাড়াও ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১০টি অস্ত্র তারা লুট করে নিয়ে যায়। অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে র‍্যাব।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বান্দরবান পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সামরিক বাহিনী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *