ঢাকা: শিগগিরই পুনর্বিন্যস্ত হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জোন ও ডিভিশন।
বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় রয়েছে ৪৯টি থানা। এগুলো তত্ত্বাবধানের জন্য সহকারী কমিশনারদের (এসি) আওতায় রয়েছে ১৬টি জোন। তাদের ওপরে উপ-পুলিশ কমিশনারদের (ডিসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে ৮টি ডিভিশন।
এসব জোন ও ডিভিশনে শিগগিরই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুনর্বিন্যস্ত করা হচ্ছে প্রত্যেকটি জোন ও ডিভিশনকে। প্রতি জোনে দুই কিংবা তিনটি থানা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে জোনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জনগণকে আরও কাছ থেকে সেবা দিতে পারবেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, বর্তমানে থাকা ১৬টি জোনকে ২৪ কিংবা ২৫টি জোনে পুনর্বিন্যস্ত করা হবে। এছাড়াও ডিএমপি’র পৃথক আটটি ডিভিশনের আওতায় থাকা থানাগুলো থেকে এক বা একাধিক থানা অন্য ডিভিশনে সংযুক্ত করে পুনর্বিন্যস্ত করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, ডিএমপি থানাগুলোর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশের ৭ হাজার ১৫১ সদস্যকে থানাগুলোতে সংযুক্ত করা হবে।
রাজধানী ঢাকার থানাগুলোকে ’এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। পরে থানার চাহিদা অনুযায়ী সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এই পুলিশ সদস্যদের থানায় সংযুক্ত করা হবে। থানা এলাকার বিস্তৃতি, অপরাধীদের সংখ্যা ও মাত্রা ইত্যাদি বিবেচনায় ক্রমান্বয়ে ’এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে এ পুনর্বিন্যাস করা হবে।
সম্প্রতি ডিএমপি সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া’র সভাপতিত্বে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে প্রাথমিকভাবে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোনতাসিরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ডিএমপি সদর দপ্তরে একটি ক্রাইম কনফারেন্স হয়েছে। যা অপরাধ দমনের লক্ষে সাধারণত প্রতিমাসের শেষে হয়ে থাকে। রাজধানীর প্রতি থানার ওসি থেকে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের উপস্থিতে এ কনফারেন্স হয়ে থাকে। কনফারেন্সে অপরাধ দমনে বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ-পরিকল্পনা ইত্যাদি উপস্থাপন করা হয়।
তিনি আরও জানান, কনফারেন্সের শুরুতে রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় ডিএমপি কশিনার উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এ ধারা যেনো অব্যহত থাকে সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেন।