রমজান আলী রুবেল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি. সরকার দাবীকের তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। তা হলে কেনো গনতন্ত হত্যা করলো।বাংলাদেশে বাকশা,একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।সরকার গায়েবী মামলা,বুলেট,গ্রেনেড,গুলি করে বিরোধী দলের মুখ বন্ধ করার প্রয়াস পেতে পারে। এতে শেষ রক্ষা হবে না।
দেশের মানুষ আমাদের আহ্বানে সাত জানুয়ারির নির্বাচন বর্কজন করেছে। সরকার দিশেহারা হয়ে দলের মহাসচিব সহ কেন্দ্রীয়,জেলা,উপজেল পর্যায়ের নেতাদের উপর জেল জুলুম নির্যাতন করেছে। গায়েবী মামলায় গ্রেফতার করে জেলখানায় জুলুম নির্যাতনের কারণে হিরা খানের মৃত্যু হয়েছে।
বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান রবিবার(৩১মার্চ) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে কারাগারে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান উরফে হিরা খানের বাড়িতে এসে এসব কথা বলেন।
প্রয়াত আশাদুজ্জামান হিরা খান উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দনি খানের ছেল। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ড.মঈন খান আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা হিরাখানের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছি। আমরা গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। বিএনপি ক্ষমতায় যাবার জন্য আন্দোলন করে না।
আমরা চাই দেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার,নারীর অধিকার,শিশুর অধিকার ফিরে পাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গনতন্ত্র কামী। ১৯৫২ সালে বুকের রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার রক্ষা করেছে। তারা স্বাধীনতা চায়,ভোট দিতে চায়,কথাবলতে চায়। আমাদের একটাই দাবী বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে। আওয়ামিলীগের মতো লগি বৈঠার রাজনীতি করেনা।
দেশের মানুষ আমাদের আন্দোলনো সাড়া দিয়ে সরকারকে চলেযেতে বলেছে। রসকারকে বিদাই নিতে হবে। দেশে আজহোক কাল হোক গনমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপিরকেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.মো. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.আক্তারুল আলম মাষ্টার, জেলা বিএনপির নেতা মো.আ. মোতালেব, ডা. মো.শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান টিটু, উপজেলা বিএনপির সদস্য মোক্তারুল করিম শামীম সহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড.মঈন খান প্রয়াত বিএনপি নেতা হিরা খানের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরিবারের খোঁজখবর নেন। দলের চেয়ারম্যানের পক্ষথেকে হিরা খানের স্বজনদের হাতে অনুদান তুলেদেন।
এর আগে গতবছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে অংশ নেন হিরা। রাতে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হন। শ্রীপুর থানার একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে পরদিন আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কাশেমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ থাকাবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর’২৩ তারিখ সকাল দশটায় বুকে ব্যথায় অসুস্থ হন হিরা। কারাকর্তৃপক্ষ তাকে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরদিন দুই ডিসেম্বর নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।