ঢাকা: বিগত পঞ্জিকা বছরে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া দলটির অডিট রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলটির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয়।
হিসাব জমা দেওয়ার পর প্রতিনিধি দলের সদস্য চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট একেএম আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের জানুযারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলটির বিভিন্ন খাতে আয় হয়েছে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার ৫৯০ টাকা। এতে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। যা আগের বছরের ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ থেকে ব্যয় করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আমিনুল হক জানান, প্রতিবেদনে অনুদান, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, সদস্য ফরম বিক্রিকে আয়ের খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর ব্যয়ের খাত হিসেবে যাতায়ত, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, ইফতার মাহফিল, অফিস খরচ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনকে দেখানো হয়েছে।
এ সময় বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও বিএনপির অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অডিট কর্মকর্তা ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৯টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ায় ইসি।
এছাড়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ২৫টি দল হিসাব জমা দিয়েছিল। কিন্তু ২২টি দল যথাযথ নিয়ম মেনে অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায়, তাদের প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি ইসি। এদেরও ৩১ আগস্টের মধ্যে ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।
এদিকে ৬টি দল এবার কোনো সাড়া দেয়নি। কোনো দল পরপর তিনবছর ইসিতে তার আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।