ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ‘প্রবেশ’ নিয়ে উত্তপ্ত বুয়েট

Slider শিক্ষা

গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাদের প্রবেশকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পর প্রশ্ন উঠেছে তাদের এই ক্ষোভ কি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নাকি ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে?

যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতির বিরুদ্ধেই তাদের এই ক্ষোভ। তবে এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে ছাত্রলীগ। তারা বলছেন, ‘পেছনে জামাত-শিবির কলকাঠি নাড়ছে।’

গত ২৭ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বিকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বুয়েট প্রশাসন।

তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে রাব্বিসহ ৬ শিক্ষার্থীকে শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল থেকে আবারো বিক্ষোভের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি ও স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তারা ‘এক দুই তিন চার, ডিএসডব্লিউ গদি ছাড়’, ‘আমি কে তুমি কে, আবরার আবরার’, ‘বুয়েট বাঁচাও বুয়েট বাঁচাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ‘সহমত পোষণ’ করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদা। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করার জন্য যা যা করার, করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। নিয়মের মধ্যে সবকিছু করার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

বুয়েট ক্যাম্পাসে কেন গেলেন? জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমি ওই দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে পরিচিত কয়েকজনের সাথে দেখা হলো। তাদের সাথে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। এ সময় বৃষ্টি এলে আমি ক্যাফেটরিয়াতে গিয়ে বসি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। এখন কথা হচ্ছে, বুয়েট তো আর নিষিদ্ধ জায়গা না যে, সেখানে আমরা যেতে পারব না। সেখানে অবশ্যই আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে যাইনি।’

শুধু আপনার প্রবেশের কারণেই কী সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত ক্ষুব্ধ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে। সেখানে প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ থাকায় শিবির আর হিযবুত তাহরীর অন্ধকারে তৎপরতা চালাচ্ছে। রাজনীতি করা তো প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। সেখানে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মদিন পালন পালন করলে, ২৬ মার্চ পালন করলে হেনস্থা হতে হচ্ছে। এগুলোও যারা করছেন, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা সবাই চাই সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক।’

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে অন্তত ৬ জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয়েছে ডয়চে ভেলের। এর মধ্যে ৫ জনই নিজের নাম পরিচয় প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চাননি।

শুধু বুয়েটের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আমাদের ভালো কোন অভিজ্ঞতা নেই। শুধু এবারের ঘটনাটি নয়, মাসখানেক আগেও তারা খিচুরি খেয়েছে। সেটা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে এবার প্রশাসনের কোন আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।’

ছাত্রলীগ যেটা বলছে, প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রশিবির ও হিযবুত তাহরীর ভেতরে ভেতরে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই অভিযোগ কি ঠিক? জানতে চাইলে তাহমিদ হোসেন বলেন, ‘হিযবুত তাহরির তৎপরতা চালাচ্ছে এটা ঠিক। তাদের তৎপরতা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে। সেখানে তো প্রকাশ্য রাজনীতি চলছে। তাহলে এই অভিযোগ আনা ঠিক না। আর শিবিরের কোনো তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি। যদি কখনো পড়ে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আন্দোন করবেন শিক্ষার্থীরা। আমরা চাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।’

আন্দোলনে যুক্ত আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আসলে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছি। কারণ যেকোনো সময় আমাদেরও হয়রানি করা হতে পারে। কিন্তু আমরা কোনো বিশেষ ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে না। আমরা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। ছাত্ররাজনীতির নামে কোনো ধরনের জীবনহানি আমরা চাই না।’

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কী?

১. শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে লিখিতভাবে ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।

২. একই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে জড়িত এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাতকে বুয়েট থেকে একাডেমিকভাবে স্থায়ী এবং হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

৩. বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, তারা কেন-কিভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত নোটিশ এবং বাস্তবায়ন।

৪. নিরাপত্তার জন্য রাত সাড়ে ১০টার পর সব ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে থাকা নিষেধ এবং যেকোনো প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের রাত সাড়ে ১০টার বেশি সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হলে সেক্ষেত্রে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের (ডিএসডাব্লিও) অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। তাহলে বহিরাগতদের অনুমতি দেয়া নাই হয়ে থাকে, তাহলে ডিএসডাব্লিওর প্রটোকল ভেঙে বহিরাগতরা মধ্যরাতে সেমিনার রুমে মিটিং করতে সক্ষম হয়েছে কিভাবে? এক্ষেত্রে ডিএসডাব্লিও নিজের প্রটোকল অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ, এ দায় স্বীকার করতে হবে।

৫. শনিবার টার্ম ফাইনাল আমরা বর্জন করছি এবং রোববারের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে না এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলকে শনিবার বিকেল ৩টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাদের দাবি, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘আবেগকে’ ব্যবহার করে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ স্বার্থ হাসিল করছে।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ২০ ব্যাচের আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েটর সংবিধানে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে আইন আছে, আমরা তাকে সম্মান করি। তবে এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপনে হিজবুত তাহরির, ইসলামী ছাত্র শিবিরের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো কাজ করছে। আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় আমরাও দুঃখিত। তবে সে ঘটনার আবেগকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামানো হয়েছে।’

বুয়েট প্রশাসন কী বলছে?
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ‘সহমত পোষণ’ করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার। শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভিসি। ওই ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘আজকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এর সদস্যদের মতামতও আমরা শুনব।’

ইমতিয়াজসহ আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবির বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘ইমতিয়াজকে হল থেকে বহিষ্কার আমরা করতে পারি। কিন্তু টার্ম বহিষ্কার শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক ডেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে করতে হবে। শৃঙ্খলা কমিটির সভার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে। তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া শৃঙ্খলা কমিটি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এভাবে শাস্তি দেয়া হলে আদালতে গিয়েও টিকবে না। ফলে তদন্ত লাগবে এবং তদন্তে অভিযুক্তকেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। আমাদের আইন ও নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।

অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে ঘটনায় ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমানের পদত্যাগের যে দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা, সেই প্রসঙ্গে ভিসি সত্য প্রসাদ বলেন, ‘ডিএসডব্লিউর পদত্যাগের বিষয়ে এখন আমরা চিন্তা করছি না। কারণ, এটা নরমাল একটা প্রসিডিউর। নিয়ম অনুযায়ী যখন হওয়ার হবে।

ডিএসডব্লিউ বলেছেন, তার পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি ছিল না। শিক্ষার্থীরা দাবি করতেই পারেন। কিন্তু দাবির মুখে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। সময় হলে আমরা নতুন ডিএসডব্লিউ নিয়োগ দেব।’

মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিস দেব যে- কেন তিনি ঢুকতে দিলেন। তার তো ঢুকতে দেয়া উচিত হয়নি। গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অমানবিক বা অনিয়মতান্ত্রিক। কে ঢুকেছে, তাকে তো আগে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেয়া যাবে না। তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেন, কিছু গোষ্ঠী গোপনে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়ে আমরা আরো গভীরভাবে তদন্ত করবো। ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখেন এবং সেটা যদি মনে হয় যে কোনো গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেয়ার মতো কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে, এসব তদন্ত তারা করছেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষকে আহ্বান জানাবো, সেখানে (বুয়েট) শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে রোববার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। রোববার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় এই সমাবেশ শুরু হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বলেন,‘২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দ করা সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

আজ শনিবারও (৩০ মার্চ) দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এক শিক্ষার্থীর সিট বাতিলসহ তিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ২৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। পরে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে ২০২১ সালে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *